প্রতীকী চিত্র।
তিন বছর টাকা জমিয়ে সোমবার নতুন দোকান খুলেছিলেন। কিন্তু পরের দিন থেকেই উধাও সব খদ্দের। প্রচুর কাঁচামাল মজুত করেছিলেন, করোনা আতঙ্কে সব নষ্ট হওয়ার পথে। সেই সমস্যাকেই এ বার করোনা মোকাবিলার হাতিয়ারে পরিণত করলেন বছর কুড়ির মিলান।
হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে ছোট্ট একটি পিৎজার দোকান খুলেছিলেন মিলান ভার্গা। কিন্তু দোকান খোলার পরের দিন মঙ্গলবার থেকেই করোনার জেরে রাস্তায় লোকজন প্রায় নেই বললেই চলে, বিশেষ করে প্রবীণরা নিজেদের ঘরবন্দি করে নিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে দেশের মানুষকে সাহায্য করতে নেমে পড়লেন মিলান। ঠিক করেন, দোকানে তৈরি অর্ধেক পিৎজা প্রবীণদের বিনামূল্যে দেবেন। মিলান জানিয়েছেন, ‘তিনি নিজের মতো করে এই প্রবীণদের সাহায্য করার চেষ্টা করছেন। বিনামূল্যে বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছেন পিৎজা’।
ইউরোপের অধিকাংশ দেশ বিদেশিদের জন্য সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে, বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন অফিসও। এই অবস্থায় হাঙ্গেরির মানুষ চেষ্টা করছেন, প্রবীণ, যাঁদের আশ্রয় নেই বা যে সব স্বাস্থ্যকর্মী করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লড়াই করে চলছেন তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর।
আরও পড়ুন: সন্তান হারানো ডেলিভারি বয়কে আলিঙ্গন ২ বছরের শিশুর!
ফেসবুকে ‘বুদাপেস্ট এয়ারবিএনবি কমিউনিটি ফর দ্যা হেল্থ ওয়ার্কার্স’ গ্রুপে এখন প্রায় ১২০০ সদস্য রয়েছে। এই গ্রুপের সদস্যরা তাঁদের ভাড়া দেওয়ার মতো ফ্ল্যাটে চিকিৎসাকর্মীদের বিনামূল্যে থাকতে দিচ্ছেন। যাঁরা বাড়ির সদস্যদের নিরাপত্তার কারণে তাঁদের থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কমছে দূষণ, লকডাউনের মুম্বইয়ের তটের কাছে এসে খেলা করছে ডলফিন
শুধু বুদাপেস্টেই এয়ারবিএনবি-তে ১০ হাজার ফ্ল্যাট রয়েছে। করোনার থাবায় সব পর্যটক উধাও হয়ে গিয়েছে। ফলে সেগুলি খালিই পড়ে রয়েছে। তার মধ্যে এমন প্রচুর ফ্ল্যাটের দরজা চিকিৎসাকর্মীদের জন্য খুলে দিয়েছেন বাড়ি মালিকরা। সবাই নিজের মতো করে সহযোগিতা করে চলেছেন করোনাকে হারাতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy