রাত করে খাওয়ার অভ্যাস ডেকে আনছে নানা অসুখ। ছবি: শাটারস্টক।
নাগরিক জীবনের নানা অভ্যেসের একটা রাত করে খাওয়া। প্রায় সকলেই কম বেশি রাতের খাওয়ার খেতে ১১টা বাজিয়ে দিই। কেউ কেউ খান আরও বেশি রাতে। অফিস থেকে দেরি করে ফেরা. বাচ্চাদের হোমটাস্ক ইত্যাদি অজুহাত তো রয়েছেই। সত্যি কথা হল, দেরি করে খাওয়াই আমাদের লাইফস্টাইল।
কিন্তু আমরা ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারি না এই লাইফস্টাইল আমাদের কত বড় বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এই কু-অভ্যাসের কারণেই শরীরে বাসা বাধছে মারণরোগ। বদহজম, অম্লতা তো আছেই, তা ছাড়াও নানা জটিল অসুখের শিকার হতে পারেন এই কারণে। বন্ধুদের নিয়ে লেট নাইট পার্টি হোক, বা ঘরোয়া রান্নাতেই মধ্য রাত পার করে খেতে বসা— সমান ক্ষতিকর দুটোই।
জানেন কি রোজের এই ভুলের মাসুল আপনার শরীরকে কী ভাবে দিতে হতে পারে? বিভিন্ন দেশের গবেষণা ও চিকিৎসকদের পরামর্শ ইঙ্গিত বলে দিচ্ছে, এমন অভ্যাসে ভাল নেই আপনার শরীর। দূরারোগ্য ব্যাধিও দূরে নেই।
আরও পড়ুন: মাসমাইনে দিয়ে কিছুতেই খরচ সামলাতে পারছেন না? দেখে নিন সমাধান
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বিখ্যাত জার্নাল ‘অ্যাডভান্সেস ইন নিউট্রিশন’-এর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে একদল চিকিৎসক দাবি করেছেন, বেশি রাতে মশলাযুক্ত খাবার খেলে টাইপ ২ ডায়াবিটিসের সম্ভাবনা বহুলাংশে বাড়ে। পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘পেরেলম্যান স্কুল অব মেডিসিন’-এর চিকিৎসকেরা দেখিয়েছেন, বেশি রাতে খাওয়ার ফলেই বেড়ে যায় কোলেস্টরেলের মাত্রা। ফলে কয়েক গুণ বেড়ে যায় হার্টের অসুখের আশঙ্কা। এমনকি, ঘুমের মধ্যে যে কোনও সময় হার্ট অ্যাটাকও হতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে দীর্ঘ দিন বেশি রাতে খাওয়ার ফলে স্মৃতিজনিত সমস্যাও হতে পারে। ক্লান্ত শরীরে মানুষের খাদ্যগ্রহণের পরিমাণ বেড়ে যায়। বেশি রাতে, ক্লান্ত শরীরে যাঁরা খান, তাঁরা স্বাভাবিকের থেকে ৩১৫ ক্যালোরি বেশি খেয়ে ফেলেন। ঘুমের দফারফা তো বটেই। এর ফলে ক্যালোরি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমেরও দফারফা হয়। লাগামছাড়া ভাবে বাড়তে থাকে ওজন। বেশি রাতে খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা অবধারিত। দীর্ঘ দিনের এই অভ্যেস ডেকে আনে আলসারের মতো রোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy