হাতে করে কাচতে হবেই বলেই ঘরদোরের অনেক জিনিসই পরিষ্কার করার গরজ চোখে পড়ে না। কাপড় কাচার যন্ত্র বা ওয়াশিং মেশিনটি কিন্তু কেচে ফেলতে পারে এমন অনেকে কিছুই। শুধু জানতে হবে তার সঠিক কৌশল।
স্নানঘরের পর্দা: স্নানঘরের পর্দাগুলি কাচা হয় না? জানেন কি তা থেকেই স্নানঘরে বাসা বাঁধতে পারে রোগজীবাণু? এমনিতেই জায়গাটি ভীষণ স্যাঁতসেঁতে হয়। পর্দা বা স্নানঘরের লাইনার (একটি অংশ পৃথক করতে যে পর্দা ব্যবহার হয়) ভিজে গেলে তা থেকে বিশ্রী গন্ধ হয়। সেটি সময়মতো না কাচলে রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। চাইলে কিন্তু এগুলি মেশিনেই কাচতে পারেন। তবে জলের দাগ, সাবানের দাগ লেগে থাকে এমন পর্দায়। সে কারণে কিছুক্ষণ আগে থেকে ঈষদুষ্ণ জলে সাবান দিয়ে পর্দা ভিজিয়ে রাখা জরুরি। তার পর সেটি কাচতে হবে।
আরও পড়ুন:
পাপোস: বাড়ির পাপসগুলি ভীষণ নোংরা থাকে। এগুলিও কিন্তু ওয়াশিং মেশিনে কেচে ফেলা যায়। তবে পাপোস কাচার সময় তার সঙ্গে অন্য পোশাক মেশানো যাবে না। পাপোস গরম জলে সাবান দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখার পর কাচতে হবে। পাপোস কাচার পর ওয়াশিং মেশিনের ভিতরটি খুব ভাল করে পরিষ্কার করাও জরুরি। না হলে পাপোসের ময়লা রয়ে যাবে। পরের বারে ওয়াশিং মেশিনে কিছু কাচতে গেলে সেই জামায় তা লেগে যাবে।
কুশন, বালিশ: বালিশ, কুশনের ঢাকনা কাচলে, সেগুলি কাচার কথা অনেকেই ভাবেন না। বালিশও কিন্তু ভীষণ ময়লা হয়। এগুলিও ওয়াশিং মেশিনে কাচা যায়। তবে ঠান্ডা জলে। বালিশ কাচার সময় মৃদু জামাকাপড় কাচার যে মোডটি রয়েছে, সেটি চালু রাখা দরকার। তবে খুব বেশিক্ষণ ধরে এটি না কাচাই ভাল। তবে বালিশ বা কুশনে নানা ধরনের উপকরণ ব্যবহার হয়। সেটি আদৌ যন্ত্রে কাচা যাবে কি না, নির্দেশিকা দেওয়া থাকে। সেটি দেখে কাজ করা ভাল।
পোষ্যের বিছানা: পোষ্যের বিছানাও ভীষণ ময়লা হয়। সেটিও ওয়াশিং মেশিনে গরম জলে কাচতে পারেন। তবে তার আগে ব্রাশের সাহায্যে পোষ্যের লোম ঝেরে ফেলা জরুরি।
ব্যাগ: বেশ কিছু ব্যাকপ্যাক, কাপড়ের ব্যাগও ওয়াশিং মেশিনে দিয়েই কেচে নিতে পারেন। তবে খুব শৌখিন কোনও জিনিস যন্ত্রকে কাচতে না দেওয়াই ভাল।