কর্মব্যস্ত যুগে খুব তরিবত করে রান্নার সময় অনেকেরই হয় না। অফিস বেরনোর সময় কোনও ক্রমে কিছু রান্না সেরে কিছু মুখে দিয়েই তাড়াহুড়োয় বেরিয়ে আসতে হয় অনেককেই। বিশেষ কিছু পদ রান্নার জন্য অপেক্ষা করতে হয় ছুটির দিনের জন্য। এমন দিনে যদি ভাতের মানও ভাল না হয়, তা হলে খাওয়ার তৃপ্তি মাঠে মারা যায়। অনেকেই প্রতি দিনের ব্যস্ততার সময় আলাদা করে ভাত রান্নায় অত যত্ন দেখাতে পারেন না। ফলে হয় ভাত গলে যায় অথবা একে অন্যের গায়ে লেগে আঠালো হয়ে যায়। ঝরঝরে ভাত রোজ বানানোই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।
এমনিতেই রান্নার বিশেষজ্ঞদের মতে, রান্নার হাত ভাল হলেও ভাত ও চা— এই দু’টি উপাদান ভাল করে তৈরির কৌশল সকলের আয়ত্তে থাকে না। ঝরঝরে ভাত রান্না করতে কালঘাম ছুটে যায় অনেকেরই। চালের মান, ভাত ফোটার সময়, চাল ফুটতে দেওয়া জলের পরিমাণ, হাঁড়ির আয়তন অনুযায়ী চালের পরিমাপ, ফ্যান ঝরিয়ে নেওয়ার সময়— এমন অনেক এক্স ফ্যাক্টরের উপর নির্ভর করে ঝরঝরে ভাত তৈরির বিষয়টি।
অনেকেরই ধারণা, ভাল মানের চাল ও চাল নাড়াচাড়া করা যাবে, এমন হাঁড়ির আকারের উপরেই নির্ভর করে ঝরঝরে দানার ভাত। তবে একটি ঘরোয়া কৌশল জানলে চালের মান যেমনই হোক, ঝরঝরে ভাত পাবেন সহজেই।