রেটিনল, নিয়াসিমামাইড, ভিটামিন সি, গ্লাইকোলিক, স্যালিসিলিক অ্যাসিড— এই নামগুলো এখন আর কঠিন বা অচেনা নয় অনেকের কাছেই। সিরাম হোক বা ময়েশ্চারাইজ়ার কিংবা সানস্ক্রিন এই সমস্ত উপকরণগুলি ব্যবহার করা হয় প্রসাধনীতে। প্রত্যেকটি উপাদানই ত্বকের জন্য উপযোগী, এক একটির কাজ এক এক রকম।
যেমন রেটিনল, বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে এটি। আবার ব্রণের সমস্যা কমাতেও এই উপাদান কার্যকর। রেটিনল হল ভিটামিন এ-র একটি ধরন। রেটিনল ত্বকে কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে বলিরেখা কমাতে, মুখ টানটান করে তুলতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন:
সিরাম থেকে জেল বা ক্রিম রেটিনল সমৃদ্ধ প্রসাধনী বাজারে সহজেই মেলে। উপকারিতার জন্য ক্রমশই বাড়ছে এর জনপ্রিয়তা। কিন্তু জানেন কি এই রেটিনলের সঙ্গে কোন কোন উপাদান মেশালে তার উপকারিতা কমতে পারে বা তা ক্ষতিকর হতে পারে।
১. রেটিনলের সঙ্গে ভিটামিন সি একদমই উপযোগী নয়। ভিটামিন সি-এর পিএইচ মাত্রা কম। অন্য দিকে, রেটিনলের ক্ষেত্রে এই মাত্রা একটু বেশি। ভিটামিন সি এবং রেটিনল একসঙ্গে ব্যবহার করলে ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে, বিশেষত ত্বকের ধরন স্পর্শকাতর হলে জ্বালা, র্যাশের মতো সমস্যা হতেই পারে। সে কারণে, এই দুই উপাদান রয়েছে এমন প্রসাধনী পরপর ব্যবহার করা ঠিক নয়। রেটিনলযুক্ত সিরাম মাখার পর কিন্তু কোনও ভাবেই ভিটামিন সি যুক্ত ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজ়ার মাখা ঠিক হবে না।
২.বেঞ্জল পারক্সাইডের সঙ্গেও রেটিনল ব্যবহার করা ঠিক নয়। দু’টি উপাদানই ব্রণের সমস্যায় ভাল। রেটিনল এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। বেঞ্জল পারক্সাইড তার কর্মদক্ষতা হ্রাস করতে পারে। ফলে দুই ধরনের উপাদান ব্যবহার করতে হলে আলাদা ভাবে মাখাই ভাল।
৩. ব্রণ, বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে গ্লাইকোলিক অ্যাসিড। তবে এই উপাদানই রেটিনলের সঙ্গে মিশলে ত্বকে জ্বালা ভাব, র্যাশ হতে পারে। স্পর্শকাতর ত্বক হলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। ফলে দুই উপাদানের ব্যবহার একসঙ্গে না করাই ভাল।