টেলিভিশন জগতে তিনি পরিচিত মুখ। বড় পর্দাতেও অল্প-স্বল্প অভিনয় করেছেন। মডেল অভিনেত্রী জ্যাস্মীন ভসীন-এর অনুরাগীও কম নয়। সম্প্রতি শীতের মরসুমে রুক্ষ হওয়া চুলের সমস্যার সমাধানের কৌশল বাতলালেন তিনি। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কমে যাওয়ায় শীতের শুরু থেকেই ত্বকে টান ধরে। মাথার ত্বকও রুক্ষ হয়ে যায়। এই সময় অনেকেরই মাথা চুলকায়, খুশকি হয়। কারও আবার খুশকি না হলেও, সাদা গুঁড়োর মতো চামড়া উঠতে থাকে।
ইনস্টাগ্রামে ভিডিয়ো পোস্ট করে জেস্মিন এক ঘরোয়া টোটকার কথা বলেছেন। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, শীতে চুলের সমস্যার মোকাবিলা করতে পারে চুলের মাস্ক। বাজারচলতি নয়, বরং দই, মধু এবং পাতিলেবু দিয়ে তা বানান অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন:
ত্বকের রোগের চিকিৎসক রোজ়ি বাদ্যল জানাচ্ছেন, ঘরোয়া মাস্কও অনেক সময় বেশ কার্যকর হয়। টক দইয়ে রয়েছে প্রোবায়োটিক এবং ফ্যাটি অ্যাসিড যা মাথার ত্বকের শুষ্ক ভাব দূর করে আর্দ্র রাখে। মধু প্রাকৃতিক ময়েশ্চরাইজ়ার। চুল নরম এবং মসৃণ রাখতে সাহায্য করে। পাতিলেবুর রস খুসকি বা মাথার ত্বকের সংক্রমণ দূর রাখে।
চিকিৎসক আরও জানিয়েছেন, স্পর্শকাতর ত্বক হলে এই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে সাবধানে। উপকারী হলেও, কারও কারও ত্বকে তা সমস্যা তৈরি করতে পারে। এ জন্য প্যাচ টেস্ট জরুরি। অল্প পরিমাণ মাস্ক মাথার ত্বকের একাংশে লাগিয়ে নিন। যদি চুলকায় বা র্যাশ বেরোয় তা হলে আর মাখা যাবে না।
তা ছাড়া পাতিলেবু অনেক সময় মাথার ত্বক রুক্ষ করে দিতে পারে। এতে অ্যাসিড থাকে, যা থেকে মাথা চুলকোতে পারে। সে কারণে প্যাচ টেস্ট জরুরি। চুলের মাস্ক সপ্তাহে একবার ব্যবহার করা যায় নিয়মিত নয়। জরুরি হল মাস্ক ব্যবহারের পর তা ভাল করে ধুয়ে ফেলা। মৃদু কোনও শ্যাম্পু দিয়ে ঈষদুষ্ণ জলে চুল ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে।
অনেকেই চুলে রং করেন। পাতিলেবুতে অ্যাসিড থাকে। ফলে এই ধরনের মাস্কের ব্যবহারে চুলের রং দ্রুত জেল্লা হারাতে পারে। তাই রং করা চুলের মাস্ক তৈরির সময়ে পাতিলেবু বাদ দেওয়া দরকার। যদি এতে সমস্যা না কমে তা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।