কড়া রোদ যতই থাকুক, কাজে বেরোতেই হবে। কিন্তু এই যে এত সেজেগুজে বেরালেন, গরমে ঘেমে নেয়ে সেই সাজই যদি গলে যায়, তবে কি আর ভাল লাগে? তার উপরে রোদে বেশি ক্ষণ থাকলেই মুখে জ্বালা হয় অনেকের। রোদ লাগলে র্যাশ, ব্রণ-ফুস্কুড়ির সমস্যাও হয়। প্রচণ্ড গরমে ত্বক যদি ঠান্ডা রাখতে হয়, তা হলে কিছু নিয়ম মানতে হবে। অনেকে ভাবেন মুখে বরফ ঘষলেই বুঝি জ্বালা কমবে। তা নয়। বরফ তো সঙ্গে রাখার উপায় নেই, তাই ত্বকে শীতল অনুভূতি পেতে কী কী করবেন তা জেনে নিন।
বারে বারে জলের ঝাপটা
বাইরে থেকে এসে হাত-পায়ে যেমন জল দেন, তেমনই মুখেও দিতে হবে ঠান্ডা জলের ঝাপটা। শসা বা পুদিনার নির্যাস যুক্ত ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুলেও আরাম পাবেন। ঘরে থাকার সময়ও নির্দিষ্ট সময় অন্তর জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে পারেন। তবে ফেসওয়াশ ব্যবহার করার দরকার নেই।
আরও পড়ুন:
ফেসিয়াল মিস্ট
একটি শসা, এক চামচ অ্যালো ভেরা, আধ কাপ জলে মিশিয়ে নিন। সমস্ত উপকরণ ভাল করে মিশিয়ে একটি স্প্রে বোতলে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। যখন দরকার হবে, বের করে মুখে, গলায় স্প্রে করে নিলেই ত্বকের প্রদাহ কমবে, ঘামের ফলে হওয়া সংক্রমণ থেকে রেহাই মিলবে। রোদে বেরিয়ে ঠান্ডা মিশ্রণটি মাঝেমধ্যে স্প্রে করে নিলে বেশ আরামও হবে।
ত্বক শীতল রাখার মাস্ক
শসা দিয়ে একটা মাস্ক বানিয়ে রেখে দিন। খুব খাটনির কাজ নয়। এক বার বানিয়ে নিতে পারলে চলবে বেশ কিছু দিন। শসার মধ্যে অনেকটা জল থাকে। এই সময়টায় আপনার যেমন বারবার গলা শুকিয়ে যাচ্ছে, জল তেষ্টা পাচ্ছে, ত্বকেরও তেমনই হচ্ছে। ত্বক চনমনে রাখতে বেশি জল চাই। শসা সেটা দিতে পারে। কী করতে হবে তার জন্য? খুব সহজ। শসা কুচি করে একটু মিক্সিতে বেটে নিন। সামান্য দুধ মিশিয়ে নিন তার সঙ্গে। ব্যস। একটি পাত্রে সেই মাস্ক ভরে রেখে দিন ফ্রিজে। ঘরের কাজের ফাঁকে কখনও সেই মাস্ক এক চামচ মেখে নিন মুখে। এতে ত্বকে শীতল ভাব বজায় থাকবে। র্যাশ বা ব্রণর সমস্যাও কমবে।