যেকোনও ধরনের ত্বকের যত্ন বাড়িতেও হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
পুজো আসতে বাকি আর ১২ দিন। তবে উৎসব প্রায় শুরু হয়ে গিয়েছে। বাঙালির উৎসব মানেই জমিয়ে সাজগোজ। পুজোর ভিড়ে আলাদা করে নজর কাড়তে পার্লারগুলিতে ঠাসা ভিড়। পা ফেলার এতটুকু জায়গা নেই। তবে ত্বকের যত্ন নিতে সব সময়ে যে পার্লারে যাওয়ার দরকার আছে, তা নয়। বাড়ি বসেই সব ধরনের ত্বকের যত্ন নেওয়া সম্ভব। কাজের চাপে হারিয়ে যাওয়া ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফিরে পেতে পুজোর আগে ভরসা রাখুন ঘরোয়া উপাদানে।
সাধারণ ত্বক
পুজোর আগে তিন-চার দিন শসা, অ্যালো ভেরা, বেসন এবং এক চিমটে হলুদের মিশ্রণে তৈলাক্ত ত্বক হয়ে উঠবে চকচকে। ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতে শসা অব্যর্থ। শসার মূল উপাদান হল জল। শসা যেমন শরীরে জলের ভারসাম্য রক্ষা করে, তেমনই ত্বকের আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে পারে এই ফল। অ্যালো ভেরার রস, শসা কুচি এবং বেসন একসঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে মেখে রাখুন। মিনিট দশেক পরে শুকিয়ে এলে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে ২-৩ দিন করলেই ত্বক ঝকঝকে হয়ে উঠবে।
শুষ্ক ত্বক
টক দই এবং ওটমিলের ছোঁয়ায় শুষ্ক ত্বকে আসবে জেল্লা। মধু হল প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। ফলে ত্বক ভিতর থেকে মসৃণ এবং কোমল রাখতে মধুর জুড়ি মেলা ভার। তা ছাড়া, মধুর অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান, ত্বকের যে কোনও প্রকারের সংক্রমণ রুখতে সাহায্য করে। ওটমিল গুঁড়ো করে তার সঙ্গে মধু মিশিয়ে ত্বকে মাখতে পারেন। এই প্যাক শুষ্ক ত্বকে জেল্লা আনতে দারুণ উপকারী।
স্পর্শকাতর ত্বক
স্পর্শকাতর ত্বক হলে রূপচর্চার সময় কয়েকটি বিষয় নিয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। কারণ, স্পর্শকাতর ত্বকে চাইলেই সব উপকরণ ব্যবহার করা যায় না। গোলাপ জল, কমলালেবুর খোসা এবং হলুদের মতো প্রাকৃতিক উপাদানগুলি এই ধরনের ত্বকের সমস্যা অনেক অংশেই কমিয়ে দিতে পারে। গোলাপ জলে কমলালেবুর খোসা গুঁড়ো এবং এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। সপ্তাহে অন্তত দু’দিন ব্যবহার করলে ত্বকে আসবে গোলাপি আভা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy