শীত পড়লেই ত্বকের অবস্থা শোচনীয় হতে শুরু করে। শুষ্কতা দূরীকরণে করতে নানা পন্থার প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু আবার নিমেষে রুক্ষ হয়ে ওঠে মুখ। কেউ চেহারায় আর্দ্রতা ফেরাতে ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজ়ার মাখেন, কেউ বা তেল মালিশে বিশ্বাসী। আপনার জন্য কি তেল বেশি উপযোগী, না কি ক্রিম-ময়েশ্চারাইজ়ার? ত্বকের ধরন অনুযায়ী শীতের যত্ন বদলায়।
ত্বকে তেল আর ময়েশ্চারাইজ়ারের কাজ আলাদা।
ময়েশ্চারাইজ়ার ত্বকে জল টেনে আনে, আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং ত্বককে ভিতর থেকে নরম রাখে। অন্য দিকে তেল ত্বকের উপর পাতলা আবরণ তৈরি করে, যাতে ত্বকে থাকা জল বেরিয়ে না যায়। অনেকের জন্য দুটোই একসঙ্গে কার্যকরী হতে পারে।
১. শুষ্ক ত্বকের জন্য কোনটি ভাল?
যাঁদের ত্বক সারা বছরই শুষ্ক, শীতে আরও বেশি খসখসে হয়ে যায়, টানটান লাগে, কিংবা বয়সের কারণে যাঁদের ত্বক পাতলা হয়ে এসেছে— তাঁদের জন্য তেল প্রয়োজনীয়। রাতে ঘুমোনোর আগে ময়েশ্চারাইজ়ার লাগিয়ে তার ওপর কয়েক ফোঁটা তেল মুখে মেখে নিলে ত্বকের স্তর আরও মজবুত হয়। সকালে মুখ কোমল ও উজ্জ্বল থাকে। অর্থাৎ দু’টিই দরকার। এ ভাবেই ত্বক ঘণ্টার পর ঘণ্টা ত্বক আর্দ্র থাকবে।
২. তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোনটি ভাল?
যাঁদের ত্বক তেলচিটে, ত্বকের রন্ধ্র বড়, ব্রণের প্রবণতা আছে, তাঁদের বেশি তেল লাগানো উচিত নয়। উলটে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। এমন ত্বকের জন্য শীতে হালকা জেল বা ময়েশ্চারাইজ়ার ভাল। শীতকালে ত্বকে অল্প শুষ্কতা দেখা দিলে রাতে খুব কম পরিমাণে হালকা তেল ব্যবহার করা যেতে পারে, কিন্তু দিনে নয়।
৩. মিশ্র ত্বকের জন্য কোনটি ভাল?
গাল বা মুখের আরও কয়েকটি শুষ্ক জায়গায় হালকা ফেস অয়েল মাখা যায়। তার বেশি না প্রয়োগ করাই ভাল। তবে অন্যান্য জায়গায় হালকা ময়েশ্চারাইজ়ার মাখা যেতে পারে।
ত্বকের ধরন বুঝে পরিচর্যা করলে শীতে মুখ থাকবে কোমল ও উজ্জ্বল। ক্রিম আর তেলের মধ্যে সার্বিক ভাবে সেরার তকমা কেউই পাবে না। তার কারণ এক এক ক্ষেত্রে এক একটি সেরা এবং উপযুক্ত। ঋতুভেদে, ত্বকভেদে যত্নের ধরন পালটে নিলে সারা বছরই জেল্লা অটুট থাকবে।