‘কবির সিংহ’-এর হালকা মেকআপ, পাশাপাশি ‘মেট গালা’-র রাজকীয় সাজ, অভিনেত্রী কিয়ারা আডবাণীর ত্বকের জেল্লা স্পষ্ট। মেট গালা-র সময়ে না হয় অন্তঃসত্ত্বাকালীন ঔজ্জ্বল্য ধরা পড়েছিল, কিন্তু এর আগেও কিয়ারার রূপের চর্চা চলেছে ভক্তকুল থেকে ফ্যাশনজগতে। অনেকেই জানতে চান, কী মেখে জেল্লা ধরে রেখেছেন ৩৩ বছরের নায়িকা? এই প্রশ্নে কিয়ারার উত্তরে অবাক হতে হয়!
এক সময়ে এই প্রশ্নের উত্তরে কিয়ারা বলেছিলেন, ‘‘সকালে উঠে দাঁত মাজি, মুখ ধুই (ধরে নেওয়া যেতে পারে ফেসওয়াশ দিয়ে), তার পর ময়েশ্চারাইজ়ার, ব্যস।’’ বলিউডের নায়িকার ত্বকচর্চার রুটিনে কেবল দু’টি ধাপ? তা-ও বিশেষ কিছু নয়, ফেসওয়াশ আর ক্রিম! এমনও হয়?

মেট গালায় কিয়ারার সাজ। ছবি: সংগৃহীত।
আসলে অনেকেই অত্যধিক সামগ্রী নিজের ত্বকে প্রয়োগ করতে চান না। চাপ প্রদান না করে ত্বককে নিঃশ্বাস নিতে দেওয়ার সুযোগে বিশ্বাসী অনেকে। কিয়ারাও সেই দলে পড়েন। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘যে ময়েশ্চারাইজ়ারটা মাখি, সেটি খুব হালকা, তেলচিটে নয় একেবারেই। এতে মুখের ত্বক ভীষণ নরম হয়ে যায়। ঠিক যে রকমটা চাই আমি। পাশাপাশি, সানব্লক বা সানস্ক্রিন আমার জন্য অপরিহার্য। ভাল সানস্ক্রিন কেনা সবচেয়ে বেশি জরুরি। যদি আপনি এমন একটি ময়েশ্চারাইজ়ার মাখেন, যাতে সানস্ক্রিনের বৈশিষ্ট্য রয়েছে, তা হলে নতুন করে আর কিনতে হবে না।’’
আরও পড়ুন:
হালকা ময়েশ্চারাইজ়ার আর হালকা সানস্ক্রিন ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ, ছোপ ছোপ দাগ, ইত্যাদির সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য এই দুই সামগ্রী খুব জরুরি। অতিরিক্ত উপকরণের চাপে ত্বকে যথাযথ পুষ্টি পৌঁছতে পারে না। তাই কিয়ারার কৌশল আপনিও অনুসরণ করতে পারেন।