সুন্দর হতে সকলেই চান। সে সদ্য কৈশোরে পা দেওয়া ছেলে-মেয়ে হোক বা বার্ধক্যে পৌঁছনো মানুষজন। কিন্তু কী হবে সেই উপায়? কেউ বলছেন সিরাম মাখলেই কাজ হবে, কারও পরামর্শ মাস্ক ব্যবহারের। তবে সুন্দর থাকার কৌশল, রূপচর্চা নিয়ে কী বলছেন শাহনাজ় হুসেন?
রূপচর্চার জগতে তাঁর পরিচিতি যথেষ্ট। সকলে তাঁকে চেনে মহিলা উদ্যোগপতি হিসাবে। প্রাকৃতিক উপকরণে সৌন্দর্যচর্চার উপায় নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চলেছেন তিনি দীর্ঘ দিন। শাহনাজ়ের পরামর্শ, যে কোনও বয়সেই ত্বকের যত্ন শুরু করা যেতে পারে। কৈশোর বা প্রাক্-কৈশোরেও তা জরুরি। তবে একই সঙ্গে তিনি মনে করাচ্ছেন, ত্বক ভাল রাখার উপায় হল পরিচ্ছন্নতা এবং ধুলো, দূষণ থেকে রক্ষা করা। তবে রূপচর্চার ফল এক রাতে মেলে না, জানাচ্ছেন শাহনাজ়। সে কারণেই কম বয়স থেকে ত্বকের যত্ন নেওয়ার পক্ষপাতী তিনি। দীর্ঘ দিন যত্ন করলে ত্ববেই সুন্দর ত্বক পাওয়া যায়, মত তাঁর। কী ভাবে ঘরোয়া উপায়ে ত্বকের যত্ন নেবেন, শেখাচ্ছেন শাহনাজ়।
আরও পড়ুন:
এক্সফোলিয়েশন: ত্বকের উপর মৃত কোষের পরত জমে মুখের ঔজ্জ্বল্য নষ্ট করে দেয়। সে জন্যই দরকার এক্সফোলিয়েশন। এ জন্য ঘরোয়া উপকরণ বেছে নেওয়া যায় বলছেন শাহনাজ়। চিনি এবং অলিভ অয়েল বা মধু মিশিয়ে হালকা হাতে মাসাজ করলেই তা স্ক্রাবের কাজ করবে। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে এবং দীপ্তি ফেরাতে এই ধাপটি জরুরি।
মাস্ক: আধ কাপ ওট্স গুঁড়ো করে নিতে হবে। কিছুটা ওট্স গুঁড়োর সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে ২ টেবিল চামচ টক দই। এই মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে রেখে দিতে হবে যত ক্ষণ না শুকোচ্ছে। তারপর মুখ ধুয়ে নিলেই ত্বক হবে নরম এবং সুন্দর।
সিরাম: ঘরোয়া উপকরণেও সিরামের মতো জেল্লা ফিরতে পারে। ১ টেবিল চামচ মধুর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা পাতিলেবুর রস মিশিয়ে মুখে মাখতে হবে। ত্বকের কালচে ভাব দূর করবে এই দুই উকরণের মিশেল। মিনিট ১৫ রেখে সেটি ধুয়ে ফেলতে হবে।
আর্দ্রতা: ত্বক ভাল রাখার জন্য আর্দ্রতাও জরুরি। অ্যালো ভেরা জেল মুখে মাখলেও সেই কাজ হবে। প্রদাহ কমাতেও এটি উপকারী।