ত্বক তৈলাক্ত। মুখময় ব্রণ। সেই মুখে যে মাস্ক ব্যবহার করা যায়, সেটাই কি মাখতে পারেন যাঁদের ত্বকের ধরন শুষ্ক, তাঁরাও? কার্যক্ষেত্রে দেখা যায়, অনেকেই শুধু মাস্কের উপযোগিতা বিচার করে মুখে মাখছেন। উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে ত্বকের সমস্যা বা ধরন। তবে রূপচর্চা শিল্পীদের পরামর্শ, সমস্যা এবং ত্বকের ধরন বুঝেই মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। যে কোনও প্রসাধনী যেমন যে কোনও ত্বকের উপযোগী নয়, তেমনই মাস্কও সমস্ত ত্বকের জন্য এক রকম হতে পারে না। আর সে কারণেই বাজারে নানা রকম উপাদানে তৈরি মুখের মাস্ক রয়েছে। বেছে নেবেন কোনটি?
লুধিয়ানার অ্যাসথেটিক ডার্মাটোলজির চিকিৎসক অনিন্দিতা সরকার এক সাক্ষাৎকারে এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছেন।
শুষ্ক ত্বক: ত্বকের ধরন কারও কারও বেশ শুষ্ক হয়। মুখে কোনও ঔজ্জ্বল্য থাকে না। এমন ত্বকের জন্য দরকার হয় আর্দ্রতার। সে জন্য বেছে নেওয়া যেতে পারে হাইড্রেটিং জেল বা ক্রিম মাস্ক। এই ধরনের মাস্ক ত্বকে আর্দ্রতার জোগান দিতে এবং সেই আর্দ্রতা ধরে রাখতেও সাহায্য করে। হায়ালুরোনিক অ্যাসিড যুক্ত শিট মাস্ক বা অন্য কোনও মাস্ক এ জন্য আদর্শ। কারণ, মুখে আর্দ্রতা জোগাতে এই উপাদান একাই একশো।
আরও পড়ুন:
জেল্লাহীন ত্বক: কারও ত্বক শুষ্ক না হলেও জেল্লা থাকে না। মুখের কোনও কোনও অংশ কালচে হয়। এমন ত্বকের জন্য অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যুক্ত প্রসাধনী জরুরি। দরকার হয় এক্সফোলিয়েশনের, যাতে ত্বকে জমা মৃত কোষ পরিষ্কার করা যায়। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন সি যুক্ত কোনও মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে। ত্বকের কালচে ভাব দূর করে দীপ্তি ফেরাতে কাজে আসতে পারে নিয়াসিনামাইডও।
স্পর্শকাতর: কারও ত্বক হয় স্পর্শকাতর। এমন ত্বকে যে কোনও জিনিস মাখা যায় না। সুগন্ধী, অ্যালকোহল মিশ্রিত কোনও প্রসাধনী বা মাস্ক এমন ত্বকের উপযোগী নয়। বরং ক্যালেন্ডুলা, ক্যামোমাইল অয়েল রয়েছে এমন উপাদান মিশ্রিত মাস্ক বেছে নেওয়া যায়।
অনন্দিতার পরামর্শ, মুখের জন্য মাস্ক বেছে নেওয়ার আগে সেটি ত্বকের উপর পরীক্ষিত কি না জেনে নেওয়া প্রয়োজন। ত্বকের ধরন স্পর্শকাতর হলে ক্লে মাস্ক বা এক্সফোলিয়েটিং মাস্ক এড়িয়ে চলা ভাল।