গত কয়েক বছরে এমন কিছু ফল নিয়ে স্বাস্থ্য সচেতনদের মধ্যে উৎসাহ তৈরি হয়েছে, যা এ দেশে চিরাচরিত ফল নয়। পুষ্টিগুণের মাত্রা সেই সব ফলে এতটাই যে, অনেকেই চেনা ফলের পাশাপাশি সেগুলি বেছে নিচ্ছেন। এমনই একটি ফল অ্যাভোকাডো। ভিটামিন, খনিজ, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর ফলটির পুষ্টিগুণ অনেক। কেউ এর স্বাস্থ্যকর দিকটির কথা মাথায় রেখে, অনেকে আবার ফলের স্বাদ বোঝার জন্যই সেটি কিনছেন। অ্যাভোকাডোর দামও নেহাত কম নয়। এমন একটি ফল কিনতে গিয়ে ঠকে গেলে, তা মোটেই সুখকর হবে না। তার চেয়ে বরং জেনে নিন, কী ভাবে পাকা অ্যাভোকাডো চিনবেন।
১। সচরাচর কলকাতা বা শহরতলির বাজারে যে অ্যাভোকাডোটি পাওয়া যায়, সেটি হাস অ্যাভোকাডো। রং দেখেই লোকে ফল কেনেন বা বোঝার চেষ্টা করেন, সেটি ভাল হবে কি না। অ্যাভোকাডো গাঢ় সবুজ রঙের হলে বুঝতে হবে, সেটি অপক্ব। ফলটির খোসায় কালচে রং ধরলে বুঝতে হবে, সেটি পাকা। তবে বেকন, ফুয়ের্তে এই ধরনের অ্যাভোকোডো গাঢ় সবুজ রঙের হলেই কিন্তু সেটি পেকে যায়।
আরও পড়ুন:
২। অ্যাভোকাডো বেশি মজে গিয়েছে কি না বুঝতে হলে হাতের মুঠোয় ধরে আলতো চাপ দিন। যদি নরম মনে হয়, বুঝতে হবে সেটি বেশি পাকা। যদি একটু শক্ত থাকে বুঝতে হবে অ্যাভোকাডো অতিরিক্ত পাকা নয়। এই ধরনের অ্যাভোকাডো স্যালাড বা স্যান্ডউইচে খাওয়া যায়। যদি বেশি পাকা বা নরম অ্যাভোকাডো কিনে ফেলেন, তাতেও সমস্যা নেই। এটি মাখনের উপর পাউরুটিতে মাখিয়ে খাওয়া যাবে।
৩। অ্যাভোকাডোর উপরের দিকের খোসাটি নখের সাহায্যে তোলার চেষ্টা করুন। যদি সহজে উঠে আসে এবং ভিতরে সবুজ শাঁস উঁকি দেয় বুঝতে হবে, ফলটি পাকা। ভিতরের অংশ বাদামি বর্ণের হলে সেটি বেশি পাকার লক্ষণ। যদি সহজে বৃন্তের দিকটি উঠে না আসে বুঝতে হবে, ফলটি এখনও কাঁচা রয়েছে।
৪। পাকা অ্যাভোকাডো হাতে নিয়েও বোঝা যায়। এটি ওজনে ভারী হয়। এ রকম ফল কাটলে শাঁস হয় ক্রিমের মতো মসৃণ। ফল যদি শুকিয়ে যায়, সেটি তুলনামূলক হালকা বোধ হবে।
৫। ফল কেনার সময় বাইরে থেকে ভাল করে পরীক্ষা করে দেখা প্রয়োজন। ঘ্রাণও নেওয়া যেতে পারে । অ্যাভোকাডোর নিজস্ব গন্ধ রয়েছে। যদি পচা গন্ধ মনে হয় বা খোসায় কোনও দাগ, ক্ষত থাকে, সেটি না নেওয়াই ভাল।