বর্ষা ঢুকে পড়েছে বঙ্গে। কখনও মুষলধারে, কখনও রিমঝিম বৃষ্টির ধারাপাত চলছে। শীতের মতো এখন আর মুখে টান ধরে না। বরং কারও কারও ত্বক এই সময় বেশ তেলতেলেও হয়ে যায়। গরমের দাপট কখনও কম কখনও বেশি। কখনও আবার গুমোট ভাবের জন্য ঘামও হচ্ছে। এমন সময়ে ময়েশ্চারাইজ়ার মাখা কি জরুরি? কেন রূপচর্চা শিল্পীরা বছরভরই জোর দেন ক্লিনজ়িং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজ়িং-এ?
আর্দ্রতা ধরে রাখে: বর্ষার মরসুমেও আর্দ্রতার হেরফের হয়। রোদ উঠলে গুমোট গরমে ঘাম হয়। তার পর স্নান করে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে দীর্ঘ ক্ষণ থাকলে কমে যায় ত্বকের আর্দ্রতা। এই সবের প্রভাব পড়ে ত্বকে। সে কারণে ত্বকের ধরন অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার করতে বলেন ত্বকের চিকিৎসকেরাও।
আরও পড়ুন:
ত্বকের বর্ম: ময়েশ্চারাইজ়ারের পরত অনেক সময় জ্বালা, চুলকানির হাত থেকে ত্বককে বাঁচায়। সুরক্ষাবর্ম হিসাবে কাজ করে। বাইরে আর্দ্রতা বেশ্ আবার এসি ঘরে ঢুকলেই বদলে যায় পরিবেশ। ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা কমলে ত্বক শুধু রুক্ষ হয়ে পড়ে না, তা চুলকাতেও পারে। সে কারণেই ময়েশ্চারাইজ়ারের বর্ম জরুরি।
তৈলাক্ত ত্বকেও জরুরি: তৈলাক্ত ত্বক মানে ব্রণের সমস্যা এবং অতিরিক্ত সেবাম নিঃসরণ। বাইরে থেকে ত্বক তেলতেলে দেখতে লাগলেও মুখের অতিরিক্ত তেল, ত্বকে জলের ঘাটতি পূরণ করতে পারে না। তা ছাড়াও মুখের এই অতিরিক্ত তেল পরিষ্কার করার সঙ্গে সঙ্গেই ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে। এমন ত্বকের জন্য যতটা সম্ভব কম ঘনত্বের ময়েশ্চারাইজ়ার কেনাই বাঞ্ছনীয়। তবে ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার জরুরি।
মেকআপ বেস: মেকআপ করার আগেও প্রস্তুতির দরকার হয়। বর্ষাকালে আর্দ্রতা বেশি আছে বলে মুখ পরিষ্কার করে ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার না করে ফাউন্ডেশন লাগালে সেটি খুব ভাল ভাবে ত্বকে মিশতে না-ও পারে। ত্বকের ধরন রুক্ষ হলে ময়েশ্চারাইজ়ার জরুরি। তৈলাক্ত ত্বকে কম ঘনত্বযুক্ত বা জেল বেসড ময়েশ্চারাইজ়ার ভাল। এতে মেকআপ আরও সুন্দর ভাবে বসে মুখ উজ্জ্বল দেখায়।
আর্দ্রতা জোগায়: যাঁদের দিনভর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে কাজ করতে হয়, তাঁদের ত্বক থেকে দ্রুত আর্দ্রতা কমতে থাকে। এ জন্য ময়েশ্চারাইজ়ার জরুরি। শুধু মুখ নয়, হাতে-পায়েও ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজ়ার মাখলে ত্বক নরম এবং মসৃণ থাকবে। হাতের তালু রুক্ষ হয়ে যাবে না।