ফেসবুকে ঠিক কী লিখেছিলেন? ছবি: সংগৃহীত।
ডিম্বাশয়ের ক্যানসারে ভুগছিলেন। বুঝেছিলেন এ পৃথিবীতে তাঁর থাকার মেয়াদ ক্রমশ ফুরিয়ে আসছে। সমাজমাধ্যমে নিজেই সে কথা জানিয়েছিলেন দুই সন্তানের মা বছর আটত্রিশের তরুণী ক্যাসি ম্যাক্লেটায়ার। অদ্ভুত ভাবে এই ঘটনার এক দিন পরেই নিউ ইয়র্কে নিজের বাড়িতে তিনি মারা যান।
বছর দুয়েক ধরে ডিম্বাশয়ের ক্যানসারে ভুগছিলেন ক্যাসে। চিকিৎসা চলছিল। প্রথম দিকে চিকিৎসায় ভাল সাড়াও দিচ্ছিলেন তিনি। দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছিলেন। চিকিৎসা চলাকালীন সকলে মিলে বেড়াতেও যান। মাসখানেক আগে হঠাৎই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন ক্যাসে। চিকিৎসকেরা অবশ্য বলেছিলেন, কয়েক দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকলে এই পরিস্থতি কাটিয়ে ওঠা যাবে। ১৫ দিন মতো হাসপাতালে ভর্তিও ছিলেন ক্যাসে। কিন্তু তাঁর মনে হচ্ছিল, সময় ফুরিয়ে আসছে। হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই তাই মানসিক প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিলেন তিনি। তবে বাড়ির কারও সঙ্গে এই বিষয়ে কিছু ভাগ করে নেননি।
সরাসরি কিছু না বললেও সমাজমাধ্যমে স্বামী, সন্তান এবং অনুরাগীদের উদ্দেশে মৃত্যুর এক দিন আগে খোলা চিঠি লিখলেন ক্যাসি। ক্যাসি লেখেন ‘‘সকলকে ছেড়ে চিরতরে চলে যাওয়া কতটা কষ্টের, তা আমি এখন বুঝতে পারছি। চিকিৎসকেদের ধারণা যাই হোক, পৃথিবীতে আমার থাকার মেয়াদ যে ফুরিয়ে আসছে, তা বেশ বুঝতে পারছি। হয়তো আর কয়েক দিন, তার পরেই সকলকে বিদায় জানিয়ে অনেক দূরে চলে যেতে হবে।’’ দুই ছেলেমেয়েকে তিনি লেখেন, ‘‘আমি জানি তোমরা আমায় কতটা ভালবাস। আমিও তোমাদের প্রচণ্ড ভালবাসি। আমার অনুপস্থিতিতে বাবা তোমাদের একমাত্র পৃথিবী। আঁকড়ে থেকো। চিঠির শেষে স্বামীর উদ্দেশে ক্যাসি লেখেন, ‘‘তোমাকে আলাদা করে আর কী বলব। তুমি আমার সবচেয়ে ভাল বন্ধু। আমি চলে যাওয়ার পর বাকিটা সামলে নিও। আমি জানি তুমি পারবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy