Advertisement
০৪ অক্টোবর ২০২৪
Food

Covid: মাংসাশীদের কি করোনা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি? নতুন গবেষণায় তেমনই ইঙ্গিত

আপনার খাদ্যাভ্যাসে মাংস না থাকলে করোনা হলেও তার প্রভাব খুব গুরুতর হওয়ার সম্ভাবনা কম। করোনা চিকিৎসার নতুন গবেষণা তাই বলছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০২১ ০৯:২৫
Share: Save:

করোনার প্রতিষেধক এবং চিকিৎসা নিয়ে গোটা বিশ্বে চলছে নানা রকম গবেষণা। মোট ৬টি দেশ জু়ড়ে চলা একটি গবেষণা বলছে, যাঁদের খাদ্যাভ্যাসে মাংস নেই, তাঁদের শরীরে করোনা খুব গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারবে না। যাঁদের ডায়েটে প্রচুর পরিমাণে মাংস থাকে, অন্তত তাঁদের তুলনায় সম্ভাবনা কম। এই রিপোর্ট প্রকাশিত হয় ‘বিএমজে নিউট্রিশন, প্রিভেনশন অ্যান্ড হেল্‌থ’ পত্রিকায়। ২৮৮৪টি স্বাস্থ্য সংস্থা যারা কোভিড রোগীদের দায়িত্বে ছিল তাদের মধ্যে একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে নিরামিষাশীদের মধ্যে গুরুতর সংক্রমণের সম্ভাবনা ৭৩ শতাংশ কম। যাঁরা মাছ খান, কিন্তু মাংস নয়, তাঁদের মধ্যে সেটা ৫৯ শতাংশ কম।

তবে নিরামিষাদের যে করোনা রোগ হবে না বা শুধু খাদ্যাভ্যাসের উপরই সংক্রমণ কতটা গুরুতর হবে, তা নির্ভর করবে— এমন কোনও প্রমাণ সেই রিপোর্ট থেকে পাওয়া যায়নি। তবে ধরে নেওয়া যায়, শাক-সব্জি-ফলে যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণ রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। মাছে রয়েছে ওমেগা থ্রি এবং ভিটামিন ডি যা শরীরে মধ্যে নানা রকম ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে। হয়তো সেই কারণেই এই ধরনের খাদ্যাভ্যাস যাঁদের, তাঁদের মধ্যে করোনা খুব মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে না সহজে। এমনটাই মত গবেষকদের।

তবে আমেরিকার বাসিন্দাদের মধ্যে অতিমারিতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া কমেছে এবং জাঙ্ক ফু়ড বা অন্যান্য অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। ২০২০ সালের জুনে ২০০০ জনের মধ্যে একটি খাদ্যাভ্যাসের সমীক্ষা করা হয়েছিল। তা থেকেই এমন তথ্য উঠে এসেছে। সিডিসি’র তরফ থেকে বারবার সতর্ক করা হয়েছে, মানুষ যাতে অতিমারিতে তাঁদের খাদ্যাভ্যাসের দিকে বিশেষ নজর দেন এবং যতটা সম্ভব স্বাস্থ্যকর খাবার বেছে নেন।

তথ্যসূত্র: রয়টার্স

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE