বয়স বাড়লে নানা শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বিশেষ করে যাঁদের স্ট্রোক বা অন্যান্য নার্ভের অসুখ কিংবা আর্থ্রাইটিসের মতো ক্ষয়জনিত সমস্যা আছে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের হাত পায়ের ব্যথা ও নড়াচড়ার অসুবিধা হয়। ঈগল আর্মস অভ্যাস করলে হাত স্টিফ হয়ে যাওয়া ও তার কারণে ব্যথার সমস্যার মোকাবিলা করা সহজ। বরিষ্ঠ নাগরিকরা এই আসনটি চেয়ারে বসেই করতে পারবেন। হাতের ব্যথা ও স্টিফনেস কমাতে এই আসনটি খুব কার্যকর।
কী ভাবে করব
• মেরুদণ্ড টানটান করে চেয়ারে পা ঝুলিয়ে বসুন। পা মাটিতে রাখতে হবে। মাথা ও ঘাড় যেন সোজা থাকে খেয়াল রাখুন। চোখ বন্ধ করে দুই হাত রাখুন কোলের উপর। এটি আসন শুরুর প্রাথমিক অবস্থান।
• এ বার দুই হাত সামনে বাড়িয়ে দিন, মেঝের সমান্তরাল ভাবে।
আরও পড়ুন: ৭১তম দিন: আজকের যোগাভ্যাস
• ডান হাতের নীচ দিয়ে বাঁ হাতের কনুই পেঁচিয়ে রাখুন।
• এই অবস্থানে কনুই কাঁধের উচ্চতায় তোলার চেষ্টা করুন।
• দুই হাত পেঁচিয়ে ধরে সামনের দিকে রেখে মেরুদণ্ড টানটান করে চোখ বন্ধ করে বসে মনে মনে পাঁচ থেকে সাত গুনতে হবে। এক রাউন্ড সম্পূর্ণ হল।
• একই রকম ভাবে বাঁ হাতের নীচ দিয়ে ডান হাতের কনুই পেঁচিয়ে ধরে চূড়ান্ত অবস্থানে এসে মনে মনে ৫–৭ গুনতে হবে।
• মনে রাখবেন, শরীর কিন্তু সোজা থাকবে। শুধু হাতের কসরত করতে হবে। দুই হাতে কয়েক বার অভ্যেস করুন।
• এক হাতে অভ্যাসের পর শুরুর অবস্থানে এসে বিশ্রাম নিয়ে অন্য হাতের আসন অভ্যাস করবেন।
সতর্কতা
হাতের কনুই, কব্জি ও কাঁধে ব্যথা বা চোট-আঘাত থাকলে এই আসনটি করা চলবে না।
আরও পড়ুন: ৭০তম দিন: আজকের যোগাভ্যাস
কেন করব
জন্ম থেকেই দুই হাত অনবরত ব্যবহার করা হয়। অথচ ঠিক মতো যত্ন করা হয় না। তাই বয়স বাড়লে হাতের পেশী স্টিফ হয়ে গিয়ে ব্যথা ও অসাড় হয়ে যাবার ঝুঁকি থাকে। এছাড়া আর্থ্রাইটিস ও অন্যান্য কারণে হাতের কব্জি, কনুই, বাহু ও কাঁধে ব্যথা করে। নিয়মিত এই আসনটি অভ্যাস করতে পারলে কাজে এনার্জি পাবেন, হাত ও কাঁধের জড়তা কাটবে।