প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহিত
কোভিডের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ে ক্লান্ত পৃথিবী। যে লড়াই নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়ার পরেও জারি থাকে বহুদিন। তবে আপনি একা নন। সেই লড়াইয়ে আপনার সঙ্গে আছে আনন্দবাজার ডিজিটাল। শরীরচর্চা, মনের যত্ন এবং খাওয়া-দাওয়ার গাইড ‘ভাল থাকুন’।
কোভিড হওয়ার পর নানা রকম জটিলতা তৈরি হচ্ছে এখন। তাতে অনেকেই ফের গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তাই শুধু নেগেটিভ রিপোর্ট পেয়েই নিশ্চিন্ত হবেন না। করিয়ে নিন আরও কিছু জরুরি পরীক্ষা। যাতে কোনও রকম জটিলতা তৈরি হওয়ার আগেই সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তবে পরীক্ষা করানোর আগে আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিন। কিছু পরীক্ষা বা স্ক্যান করে বোঝা যায়, শরীরে সাম্প্রতিক ইনফেকশনের প্রভাব কতটা গুরুতর। সেই পরীক্ষাগুলি কী কী, এক নজর দেখে নিন।
আইজিজি অ্যান্টিবডি
যে কোনও রোগের পর শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কিছু অ্যান্টিবডি তৈরি করে। যেগুলি ভবিষ্যতে ফের কোনও সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করিয়ে রাখলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার শরীরে কতটা পরিমাণে অ্যান্টিবডি রয়েছে। পরবর্তীকালে প্লাজমা দেওয়ার ক্ষেত্রেও এতে সুবিধা হবে।
কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট (সিবিসি)
রক্তের নানা রকম পরীক্ষা আপনাকে বলে দিতে পারে একটা রোগ আপনার শরীরে কতটা ক্ষতি করেছে। সিবিসি করালে রেড ব্লাড সেল, হোয়াইট ব্লাড সেল এবং প্লেটলেট কাউন্ট ধরা পড়ে। এতে আপনি বুঝতে পারবেন, কোভিড সেরে যাওয়ার পর আপনাকে সম্পূর্ণ ভাবে সুস্থ হয়ে উঠতে গেলে আর কী কী সতর্কতা নিতে হবে।
হৃদযন্ত্রের পরীক্ষা
যাঁদের প্রথম থেকেই হৃদরোগের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের শরীরে কোভিডের প্রভাব আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে। এই সংক্রমণে শরীরে নানা মাংসপেশী ফুলে যায়। যার ফলে হৃদযন্ত্রের চারপাশের মাংসপেশি কমজোরি হয়ে যেতে পারে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, যাঁদের হৃদরোগের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের অবিলম্বে হৃদযন্ত্রের স্ক্যান করিয়ে নেওয়া উচিত। নয়ত ভবিষ্যতে সমস্যা আরও গুরুতর হয়ে উঠতে পারে।
গ্লুকোজ-কোলেসটেরল
এই ভাইরাস শরীরে অনেক ভাবেই প্রভাব ফেলে। সেই কারণেই কোভিড-রোগীদের নিয়মিত রক্তচাপ, রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বা দেহের তাপমাত্রা মাপতে বলা হয়। কিন্তু যাঁদের আগে থেকেই ডায়বিটিস বা কোলেসটেরলের মতো কোনও সমস্যা রয়েছে, তাঁদের বিশেষ করে কিছু পরীক্ষা করানোর উপদেশ দেওয়া হয় সুস্থ হয়ে ওঠার পর। আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। তিনি আপনার শরীর অনুযায়ী কী কী পরীক্ষা করতে হবে বলে দেবেন। ব্লাড সুগার, বা লিভার-কিডনি ফাংশনের টেস্টও অনেককেই করতে বলা হচ্ছে।
নিউরো ফাংশন টেস্ট
কোভিড রোগীদের মধ্যে ভুলে যাওয়া, ক্লান্তি, ঝিমঝিমে ভাব, উদ্বেগের মতো নানা রকম মানসিক অসুস্থতার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। নিত্যদিনের কাজে-কর্মে এগুলি বাধা সৃষ্টি করছে। অনেক চিকিৎসকই এখন কোভিডের এই দীর্ঘকালীন প্রভাবগুলি নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন। বিশেষ করে ৪০ বছরের ঊর্ধ্বে মহিলাদের মধ্যে এর প্রবণতা বেশি চোখে পড়ছে। তাই অনেক ক্ষেত্রে এই পরীক্ষাগুলি করিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
ভিটামিন ডি
রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ভিটামিন ডি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই কোভিড-চিকিৎসার সময় ভিটামিন ডি’র ওষুধও খেতে বলা হয় রোগীদের। সুস্থ হয়ে ওঠার পর একবার এই পরীক্ষা করিয়ে নিলে বুঝতে পারবেন, কতটা ঘাটতি রয়েছে আপনার শরীরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy