Advertisement
০২ মে ২০২৪
Fake Marriage

বাস্তবের ‘ডলি’! সম্পত্তির লোভে একাধিক ছেলেকে বিয়ে করে পলাতক, তরুণীর খোঁজ করছে পুলিশ

পরিচারিকার কাজ নিয়ে প্রথমে বাড়িতে প্রবেশ করা। তার পরে নানা কৌশলে সকলের মন জয় করে সেই বাড়ির ছেলেকেই বিয়ে। বাস্তবের ‘ডলি’র আসল নাম প্রীতি। কী ভাবে পুলিশের নজরে এলেন নববধূ?

পুলিশের নজরে বাস্তবের ‘ডলি’।

পুলিশের নজরে বাস্তবের ‘ডলি’। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৩ ২০:৩৮
Share: Save:

দিল্লি এনসিআর এলাকায় পুলিশের নজরে এলেন এক নববধূ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ছেলেদের প্রলোভন দেখিয়ে তাঁকে বিয়ে করার জন্য বাধ্য করতেন মহিলা। বিয়ে করে ছেলেদের জমি এবং ফ্ল্যাট হাতানোই তাঁর লক্ষ্য।

পুলিশ জানিয়েছে, পরিচারিকার কাজ নিয়ে তিনি প্রথমে বাড়িতে প্রবেশ করতেন, তার পরে নানা কৌশলে বাড়ির সদস্যদের মন জয় করে নিতেন। সেই বাড়ির ছেলেদের নানা রকম প্রলোভন দেখিয়ে তাঁকে বিয়ে করার জন্য রাজি করিয়ে নিতেন। নিজের দলের অন্য সদস্যদের তাঁর পরিবারের লোকজন সাজিয়ে এনে ধুমধাম করে বিয়ে করতেন। পুলিশ সেই মহিলাকে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করতে পেরেছে। ২৫ বছরের সেই তরুণীর নাম প্রীতি। এর আগে একাধিক বিয়ে করলেও কারও নজরে পড়েননি। তবে ‌শেষরক্ষা হল না। এ বার ঘটনাটি ঘটেছে এক প্রাক্তন উপাচার্যের বাড়িতে। প্রাক্তন উপাচার্যের মেয়ে প্রীতির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন। উপাচার্যের মেয়ে পুলিশকে জানান, প্রীতি একটি দোতলা বাড়ি নিজের নামে করানোর চেষ্টা করছিলেন, যে বাড়ির মূল্য ছিল প্রায় ৫ কোটি টাকা।

এই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সচিন নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে। সচিন পুলিশকে জানান যে, তিনিই প্রীতির সঙ্গে ৭০ বছর বয়সি সুধা সিংহের পরিচয় করিয়ে দেন। সচিন জানতেন সুধার ২৮ বছর বয়সি মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে রয়েছে, যাঁর নাম শিবম। সুধার বয়সজনিত কারণে শরীর একেবারেই ভাল ছিল না। সেই সময়ে সুযোগ বুঝে ছলে-কৌশলে প্রীতি শিবমকে বিয়ে করেন। সুধার মত্যুর পর তাঁর মেয়ে আকাক্ষা ভাইয়ের দায়িত্ব নিতে এলে প্রীতি নিজের গোপন বিয়ের কথা তাঁকে জানান এবং কাছে আকাক্ষার কাছে সম্পত্তির ভাগ চেয়ে বসেন।

আকাক্ষা পুলিশে অভিযোগ করেন, প্রীতি তাঁর ভাই শিবমকে বাড়ি থেকে বার করে দেওয়ারও চেষ্টা করেন। সচিনের সাহায্যে তাঁদের বিভিন্ন উপায়ে ভয় দেখাতে শুরু করেন প্রীতি। এই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সচিন, প্রীতি ও পারভেজ়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। সচিনকে গ্রেফতার করা গেলেও বাকি দু’জনের খোঁজ মেলেনি। পুলিশ জানিয়েছে, শিবম ও প্রীতির বিবাহ আদৌ আইন মেনে হয়েছে কি না, তা যাচাই করা হবে। সচিন পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন যে, তাঁরা এই কাজ আগেও করেছেন। প্রীতি আগেও চারটি বিয়ে করেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Delhi NCR
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE