চড়া গন্ধ, বদ্ধ ঘর বা ধোঁয়াতে সমস্যা বাড়তে পারে মর্নিং সিকনেসের ক্ষেত্রে।
গর্ভাবস্থার শুরু থেকে ১২–১৪ সপ্তাহ পর্যন্ত সকালে, বিকেলে বা দিনভর যে গা-পাক দেওয়া বা বমির পর্ব চলে, তারই নাম মর্নিং সিকনেস। সকলেরই যে এমন হয়, তা কিন্তু নয়। তবে যাঁদের হয়, তাঁদের বেশ সমস্যায় ফেলে এই প্রবণতা। খাওয়া–দাওয়া শিকেয় ওঠে। এত ক্লান্তি থাকে যে দিন–রাত শুয়ে–বসে থাকতে ইচ্ছে করে। অকারণ প্যানিক অ্যাটাকেরও শিকার হন বহু হবু মা।
চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, ভাবী মায়ের খুব বেশি মাত্রায় অপুষ্টি না থাকলে কয়েক দিন এক বেলা কম খাওয়ায় বা না খাওয়ায় গর্ভস্থ সন্তানের কোনও ক্ষতি হয় না। ক্ষতি হয় না মায়েরও, যদি না আগে থেকে অপুষ্টি বাসা বেঁধে থাকে। তবে কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে এ সমস্যা এড়ানোও যায়৷
কোন কোন নিয়মে কষ্ট কমবে এবং বমিভাবকে নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে রইল সে সবের হদিশ।
গর্ভাবস্থায় একেবারে শুয়ে–বসে না থেকে ঘরে–বাইরের কাজকর্ম করুন টুকটাক
আরও পড়ুন: রক্ত দেখলেই ভয়? কী করে দূর করবেন এই সমস্যা?
কষ্ট কমাতে
• সকালে ঘুম থেকে উঠেই কষ্ট সবচেয়ে বেশি থাকে। সে সময় তরল কিছু খেলে সমস্যা বাড়ে। কাজেই চা–জল ইত্যাদি না খেয়ে অল্প টোস্ট, বিস্কুট বা মুড়ি খান। রাতে শোওয়ার আগেও শুকনো খাবার খেলে কাজ হতে পারে।
• বমিভাব বেশি থাকলে একসঙ্গে বেশি খেলে সমস্যা হয়। কাজেই অল্প করে খান। দরকার হলে দু’তিন ঘণ্টা অন্তর খাবেন৷
• অ্যাভোকাডো, কলা বা চর্বিহীন মাংস খেলে সমস্যা কম হয়।
আরও পড়ুন: ডিম খান এ সব উপায়ে, পুষ্টিগুণ তো মিলবেই, সঙ্গে আটকাবে মেদ
• চর্বিযুক্ত ও মশলাদার খাবার, টক ও ভাজাভুজি বেশি খেলে বদহজম বা অম্বল হতে পারে। তাতে গা–পাকের সমস্যা আরও বাড়ে। কাজেই এ সব খুব একটা খাবেন না।
• সারা দিনে পর্যাপ্ত জল ও তরল খাবার খান। তবে খাবার খেতে খেতে জল খাবেন না।
• চড়া গন্ধ, বদ্ধ ঘর বা ধোঁয়াতে সমস্যা বাড়তে পারে। ব্যাপারগুলি এড়িয়ে চলুন।
• পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। তবে একেবারে শুয়ে–বসে থাকবেন না। ঘরে–বাইরের কাজকর্ম করুন টুকটাক।
• বমি পেলে আদা–চা বা আদার কুচি খান। পাতি লেবু খেলে বা গন্ধ শুঁকলে কাজ হতে পারে।
• আকুপ্রেশার রিস্ট ব্যান্ড বা ভিটামিন বি কমপ্লেক্স সাপ্লিমেন্টে অনেক সময় বমির প্রবণতা কমে। তবে তা নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy