Advertisement
E-Paper

ডিম খান এ সব উপায়ে, পুষ্টিগুণ তো মিলবেই, সঙ্গে আটকাবে মেদ

বেশ কিছু উপায়ে ডিম খেলে মেদের সঙ্গে লড়া যায় নির্বিঘ্নে। শরীরও পায় পুরো পুষ্টিগুণ।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২০ ১৯:২০
স্বাদ, পুষ্টি ও সুষম আহারে ডিমের সঙ্গে পাল্লা দেবে এমন খাবার খুব কমই রয়েছে।  ছবি: আইস্টক।

স্বাদ, পুষ্টি ও সুষম আহারে ডিমের সঙ্গে পাল্লা দেবে এমন খাবার খুব কমই রয়েছে। ছবি: আইস্টক।

কম খরচে পুষ্টি। গরিব মানুষের ডিমের উপর ভরসা করার মূল কারণ এটাই। স্বাদ, পুষ্টি ও সুষম আহারের খোঁজে ডিমের সঙ্গে পাল্লা দেবে এমন খাবার খুব কমই রয়েছে। তবে এক সময় মনে করা হত, ডিমের কুসুমে কোলেস্টেরল বাড়ে। কিন্তু আধুনিক গবেষণা প্রমাণ করেছে, এ ধারণা ভিত্তিহীন। বরং ডিমের কুসুম খারাপ কোলেস্টেরলকে কমিয়ে ভাল কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে।

পুষ্টিবিদ সুমেধা সিংহের মতে, ‘‘ওজনে কোনও প্রভাবই ফেলে না ডিম। তেল-মশলার যে কোনও খাবারই ওজন বাড়িয়। ডিমও খুব কষিয়ে রান্না করলে বা ঘন ঘন ভেজে খেলে তেল-মশলার জন্যই মেদ বাড়ে। মেদ নিয়ে ভয় থাকলে ডিম বাদ দেওয়ার কোনও কারণই নেই। বরং বেশ কিছু উপায়ে ডিম খেলে মেদের সঙ্গে লড়া যায় নির্বিঘ্নে। শরীরও পায় পুরো পুষ্টিগুণ।

তেল-ঝালের ডালনা বাদ দিন। ভাজাভুজি এড়াতে ঘন ঘন পোচ বা অমলেটেও না বলুন। বরং ডিম খান এই সব উপায়ে।

আরও পড়ুন: ভিটামিন সি-র অভাব টের পাওয়া যায় না সহজে, এ সব লক্ষণেই সতর্ক হোন

জল দিয়ে পোচ: তেল নয়। পোচ রাঁধুন জল ও ভিনিগারের সাহায্যে। একটি পাত্রে কিছুটা জল নিয়ে তাতে অল্প ভিনিগার যোগ করে জলটা নেড়ে নিন। এ বার খুব সাবধানে প্রথমে ডিমের সাদা অংশ ফেলুন জলে। তার উপর ফেলুন ডিমের কুসুম। এমন ভাবে কুসুম যোগ করতে হবে যাতে তা ভেঙে না যায়। খানিক পরেই ডিমের সাদা অংশ ফুলে উটে ঢেকে দেবে হলুদ কুসুমকে। সাদা আস্তরণের ভিতর টলটল করবে কুসুম। ঝাঁঝরি হাতা দিয়ে পোচটিকে আলতো করে তুলে নিন জল থেকে। তেল ছাড়া এমন পোচই গোটা বিশ্বে জনপ্রিয়। ডিমের সবটুকু পুষ্টিগুণ মেলে এই পোচ থেকে। মেদ জমার ভয়ও থাকে না।

আরও পড়ুন: নোবেল এ বার প্রাণঘাতী! ভারতেও জারি সতর্কতা

স্যালাড: পালং, শশা, ব্রকোলি, সিদ্ধ করা গাজর, কড়াইশুটি, টম্যাটো-পিঁয়াজের স্যালাডের সঙ্গে মিশিয়ে দিন সিদ্ধ ডিমের কুঁচোনো অংশ। উপর থেকে ছড়ান গোলমরিচ ও লেবুর রস। এতে গোটা ডিমের পুষ্টিগুণ যেমন মিলবে, তেমনই আবার সবুজ সব্জি, শাক ও গাজরের প্রভাবে মেদ বাধা পাবে। ফলে ডিমে বাড়বে না ওজন।

ওটমিল ও ডিম: ডিমের সঙ্গে ওটমিল খান। ওটমিল পাচনমূলক অ্যাসিড ক্ষরণেও বাধা দেয়, তাই ওটমিল খেলে সহজে খিদেও পায় না। ওটমিল শরীরে বাড়তি কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড জমার পথে বাধা দেয়। এ দিকে ডিম জোগান দেয় প্রোটিনের। ফলে ওটমিল ও ডিম একত্রে লড়াই করলে মেদ জমা কঠিন হেয় দাঁড়ায়।

Egg ডিম Health Tips Fitness Tips
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy