বিপাক হার বাড়িয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখুন ওজন। ছবি: শাটারস্টক।
বাঙালি ভোজনরসিক। চোব্য-চোষ্য-লেহ্য-পেয় উশুল করে নিতে জানে বাঙালি। কিন্তু বাস্তবে আমাদের বেঁচে থাকার সঙ্গে রসনার সম্পর্ক খুব মধুর নয়। খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম, ফাস্ট ফুড খাওয়া, ঘুমের অভাব আমাদের কোণঠাসা করে দিয়েছে শেষ কয়েক বছরে। অ্যাসিডিটি, হজমের অভাব এ সব আমাদের নিত্যসঙ্গী। বরং আমাদের হৃদ্যতা বেড়েছে অ্যান্টাসিডের সঙ্গে। শরীর কিছুতেই ঝরঝরে হয় না। খাবারের একটু অনিয়মেই শরীরে মেদ জমে যাওয়ার সমস্যা আজ ঘরে ঘরে।
কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন সমস্ত সমস্যা মাথায় রেখেও ছিপছিপে থাকা, হজম শক্তি ঠিক রাখার সহজ উপায় আজও হাতের কাছেই। তার জন্য সবার আগে জরুরি বিপাকের হারটিকে নিয়ন্ত্রণ করা। তার মধ্যেই আছে সুস্থ জীবনের চাবিকাঠি।
সারা দিন কাজের ফাঁকে কিছু কৌশল অবলম্বন করলেই বিএমআর বা বিপাক হার বাড়ানোর সহজ হয়ে ওঠে। জানেন কি সে সব নিয়ম, যা মেনে চললে হজমশক্তি যেমন বা়ড়বে, তেমনই মেদও জমবে না শরীরে? দেখে নিন সে সব কিছু নিয়ম।
আরও পড়ুন: জল খেয়েই রোগা হওয়া যায়, শেখাচ্ছে ১০০ বছরের পুরনো এই থেরাপি
দাঁড়িয়ে থাকুন: চিকিৎসকরা দীর্ঘ ক্ষণ বসে থাকাকে ‘নিউ স্মোকিং’ বলে অভিহিত করছেন। এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকলে প্রায় ৫০ ক্যালোরি খরচ হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন একটানা বসে থেকে কাজ করা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। ডেস্কে বসে কাজ করতে হলেও মাঝে মাঝে উঠে দাঁড়ান, পারলে হাঁটাহাঁটি করুন। এতে শরীরে মেদ জমার পরিমাণ কমে অনেকখানি।
বিপাক হার বাড়ানোর অন্যতম সেরা হাতিয়ার গ্রিন টি।
গ্রিন টি খান: গ্রিন টি বিপাক হারকে চার থেকে পাঁচ শতাংশ বাড়িয়ে দিতে পারে। সুস্থ থাকতে এর কোনও বিকল্প নেই। নিয়মিত গ্রিন টি খেলে ফ্যাটও ঝড়বে দ্রুত। তবে খালি পেটে গ্রিনটি খেতে না করেন বিশেষজ্ঞরা।
নারকেল তেলে রাঁধুন: বাড়ির অন্য ভোজ্য তেলগুলি সরিয়ে নারকেল তেল খাওয়া অভ্যেস করতে পারলে বাজিমাত হতে পারে। কোলেস্টরেল বা মেদবৃদ্ধির ভয় তো দূর হবেই, প্রায় ১২ শতাংশ বাড়বে বিপাক হার। তবে নারকেল তেলের রান্না খেতে অসুবিধা হলে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। তবে অলিভ অয়েলেরও প্রচুর দাম, সে ক্ষেত্রে নারকেল তেলকেই বিকল্প ভাবুন।
প্রচুর জল খান: জল হল সব উপসর্গের প্রথম ওষুধ। শরীরের সমস্ত যন্ত্রপাতির যত্ন করতে জলের কোনও বিকল্প নেই। বিপাক হার বাড়াতে জল আপনার সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু।
আরও পড়ুন: জামা-কাপড় কাচতে সমস্যা! রইল কিছু সহজ টিপস
সময় মতো খবার খান: খাবার ঠিকঠাক হজম করাতে সময় মতো খাবার খাওয়াও জরুরি। ঠিক সময়ে খাবার খাওয়া আপনার বিপাক হারকে ঠিক রাখবে, শরীর হবে ঝরঝরে। রাতের খাওয়া শেষ করেই ঘুমোতে যাবেন না। অন্তত তিন-চার ঘণ্টা সময় রাখুন হাতে। দুপুরেও খাওয়া সেরেই ঘুমোবেন না, বরংএকটু কায়িক শ্রম করুন বা খানিক বসে হাঁটাহাঁটি করুন।
শরীরচর্চা: প্রতি দিন সামান্য সময়ের জন্যে হলেও এক্সারসাইজ করুন। সারা দিনে ফুরফুরে থাকবেন, শরীরে সহজে বাড়তি মেদ এসে জমবে না।
ঘুম: জেন ওয়াই মানেই নির্ঘুম রাত। কিন্তু শরীরকে তরতাজা রাখতে ঘুমোতেই হবে সময় মতো। প্রতি দিন অন্তত ৬-৭ ঘণ্টা ঘুম শরীরের বিপাক হার ঠিক রাখবে। যাঁরা রাতের শিফটে কাজ করেন তাঁরাও পর্যাপ্ত ঘুমনোর সময় বার করুন দিনের বেলা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy