স্বাভাবিক ভাবে ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে বাইরে থেকে ওষুধ বা ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। ছবি: সংগৃহীত।
ডায়াবিটিস ধরা পড়লে প্রথমেই খাওয়াদাওয়ায় রাশ টানতে হয়। চিকিৎসকেরাও তেমন পরামর্শ দিয়ে থাকেন। রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম একটি কারণ হল খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম। দেদার মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা ছাড়া এটিও রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার নেপথ্য কারণ। ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ স্বাভাবিক ভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে বাইরে থেকে ওষুধ বা ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। পাশাপাশি নিয়মমাফিক খাবারও খেতে হয়। না হলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন এমন কিছু খাবার রয়েছে, যা ডায়াবেটিক রোগীদের কাছে ‘সুপারফুড’ বলে পরিচিত। যেগুলি নিয়মিত খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বশে রাখা সম্ভব।
১) দারচিনি
বেশ কয়েকটি গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ এবং উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এই মশলা। সকালে ঈষদুষ্ণ জলে এক চিমটে দারচিনি মিশিয়ে খেলে শর্করার ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে থাকে।
২) জাম
ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে জামের বীজ অব্যর্থ। এই ফলের বীজ গুঁড়ো করে খাওয়ার চল বহু পুরনো। আয়ুর্বেদ বলছে, পরিমিত পরিমাণে জামের বীজ গুঁড়ো খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বশে রাখা যায়।
৩) মেথি
ইনসুলিনের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণে রাখতে মেথি বেশ উপকারী। মেথি ভেজানো জল বিপাকহার নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। তবে যাঁরা ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত ওষুধ খান, তাঁরা মেথি খেতে পারবেন কি না, সে বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেবেন।
৪) উচ্ছে
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে, উচ্ছে কিংবা করলা সেদ্ধ খাওয়ার পরামর্শ দেন অনেকেই। আয়ুর্বেদে বলা হয়, সকালে খালি পেটে উচ্ছে কিংবা করলার রস খেলে ইনসুলিন হরমোনের কাজ উন্নত হয়।
৫) হলুদ
হলুদের মধ্যে রয়েছে কারকিউমিন। যা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বা প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে। বেশির ভাগ রান্নাতেই হলুদ ব্যবহার করা হয়। তবে ডায়াবিটিসের নিয়ন্ত্রণে ভাল কাজ করে কাঁচা হলুদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy