হেঁশেল হল বাড়ির মধ্যমণি। পেটপুজোর প্রস্তুতি যেখানে হয়, তা তো বেশি গুরুত্ব পাবেই। তাই রান্নাঘর সাজানো নিয়ে গৃহস্থ ভাবনাচিন্তাও একটু বেশি করেন। বাড়তি ভাবনা পাওয়ার যোগ্য বটে। তাই বার বার রান্নাঘর তৈরির ধারাতেও নানাবিধ বদল দেখা গিয়েছে। আগে যে ঘরের দরজা এবং দরজার ছিটকানি বা খিল এত গুরুত্বপূর্ণ ছিল, দু’দশক আগে হঠাৎ কেতাদুরস্ত হেঁশেল পেতে লোকে সেই দরজা ও এক দিকের দেওয়ালই ভেঙে দিল। উদ্দেশ্য, সাজবদল। চার দেওয়ালে বদ্ধ হেঁশেল খোলামেলা হয়ে গেল। ‘ওপেন কিচেন’ই হয়ে উঠল ‘ট্রেন্ড’।
‘ওপেন কিচেন’ ছবি: সংগৃহীত।
গত কয়েক বছরে ওপেন কিচেন বা এক দিক খোলা রান্নাঘর ছিল খুব জনপ্রিয়। কিন্তু আবার সাবেকের সাজ ফিরে আসতে শুরু করেছে চারদিকে। অনেকেই আবার দেওয়াল তোলা হেঁশেল বা চার দেওয়ালে বদ্ধ রান্নাঘরের দিকে ঝুঁকছেন। এতেই প্রমাণ হয়, কোনও সাজ বা কোনও ডিজ়াইনই একেবারে হারিয়ে যায় না। আবার চিরকাল একই রকম জনপ্রিয়ও থাকে না।
চার দেওয়াল তোলা হেঁশেল। ছবি: সংগৃহীত।
হঠাৎ সাবেকে ফিরে যাওয়ার প্রবণতা কেন দেখা দিচ্ছে?
১. ওপেন কিচেন বা এক দিক খোলা রান্নাঘরের কিছু সুবিধা থাকলেও, এতে ব্যক্তিগত পরিসরে বার বার অনুপ্রবেশ ঘটে। অনেকে মনে করছেন, রান্না করার জায়গা মাঝেমধ্যে আড়ালে থাকা ভাল।
২. অন্য দিকে, চার দেওয়ালে বদ্ধ রান্নাঘর ঐতিহ্যবাহী। দরজা দিয়ে জায়গাটিকে ঘরের অন্য অংশ থেকে পুরোপুরি আলাদা করা যায়। যাঁরা মনোযোগ দিয়ে নিজের মতো রান্না করতে চান, তাঁদের জন্য এই ধাঁচ বেশি উপযোগী। রান্নার সময় অতিথিদের সঙ্গে গল্প না করে স্বস্তি নিয়ে কাজ করা যায়। তা ছাড়া অনেকেই রান্না করেন অগোছালো ভাবে। রান্নার পর আবার জায়গাটি গুছিয়ে রাখেন। সে ক্ষেত্রে মানুষের চোখের আড়ালে রাখলে বিব্রত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
আরও পড়ুন:
৩. এ ছাড়া, চার দেওয়াল মানেই তাতে বেশি তাক বা ক্যাবিনেট করার সুযোগ পাওয়া যায়। বাড়তি স্টোরেজের সুবিধা থাকে।
আপনি নিজের সুবিধার মতো রান্নাঘরই বানাতে পারেন, কিন্তু গৃহসজ্জার পুরনো কায়দা ফের নতুন হচ্ছে। তাই ট্রেন্ডের সঙ্গে তাল মিলিয়েও সাজাতে পারেন হেঁশেল।