— প্রতীকী ছবি।
পুরনো পাড়া ছেড়ে কিছু দিন আগেই নতুন ফ্ল্যাটে উঠেছেন নীলাঞ্জনা। নতুন বাড়ি সাজাতে যে কতটা পরিশ্রম করতে হয়, তা টের পাচ্ছেন। অনেকটাই গুছিয়ে এনেছেন। কিন্তু স্বামী রণিতের পড়ার ঘরের সাজ নিয়ে বড় চিন্তায় আছেন। রণিত খুবই খুঁতখুঁতে। বিশেষ করে পড়ার ঘর যদি পরিপাটি করে সাজানো না হয়, তা হলে বিরক্ত হতে পারেন। রণিতের পছন্দের ঘরটি সাজানোর জন্য তাই খুবই ভাবনাচিন্তা করছেন নীলাঞ্জনা।
বাড়ি সাজানো মুখের কথা নয়। মাথা খাটিয়ে সৃজনশীল সব পরিকল্পনা বার করতে হয়। তবে ঘরে বই থাকলে আলাদা করে আর সাজানোর দরকার পড়ে না। কিন্তু পড়াশোনার পরিবেশও তো গড়ে তুলতে হবে। তাই বইয়ের ঘর সাজানোর সময়ে কয়েকটি খুঁটিনাটি মাথায় রাখতে হবে।
১) পড়ার ঘরে যেন পর্যাপ্ত আলো-বাতাস ঢোকে। বদ্ধ ঘরে পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়া সম্ভব নয়। বড় জানলা থাকা জরুরি। তাতে একটা সুন্দর পর্দা টাঙান। জানলার পাশে রাখতে পারে বাহারি ফুলের টব।
২) আলমারি ভর্তি বই তো রয়েছে। কিন্তু কোথায় বসে পড়বেন তা ভেবেছেন? পড়ার ঘরের জানলার পাশেই একটা টেবিল রাখতে পারেন। সঙ্গে একটি আরামদায়ক চেয়ার। ছুটির দিনে কিংবা অবসরে বই নিয়ে বসলেই সময় কেটে যাবে।
৩) বইয়ের ঘরের দেওয়ালের সাজে কিন্তু বুদ্ধির ছাপ থাকা জরুরি। দেওয়ালে টাঙাতে পারেন তৈলচিত্র, সিনেমার পোস্টার। কিংবা পছন্দের কোনও বইয়ের প্রচ্ছদ প্রিন্ট করে বাঁধিয়েও টাঙাতে পারেন। ভাল দেখাবে।
৪) অনেকের সংগ্রহে এমন অনেক বই আছে, যেগুলি এখনও পড়া হয়নি। সে ক্ষেত্রে নতুন বইগুলি আলমারি কিংবা তাকের সামনের সারিতে রাখুন। আর যে বইগুলি ইতিমধ্যেই পড়ে ফেলেছেন, সেগুলি রাখুন পিছনের সারিতে। তা হলে নতুন আর পুরনোর ভারসাম্য রক্ষা হবে। আবার চাইলেই নতুন বইগুলি হাতের কাছে পেয়ে যাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy