দুর্গাপুজো মানেই হইচই, আড্ডা, ঠাকুর দেখা। বছরভরের ব্যস্ত জীবন থেকে ক’টা দিনই তো ছুটি মেলে। তাই বহু দিন পরে পুরনো বন্ধুরা এক হলে অনেকেই চান বাড়িতে আড্ডা দিতে। সিনেমা দেখতে।
বাইরে ভিড় ঠেলে খাওয়া, ছবি দেখার চেয়ে অনেকের কাছেই বাড়িতে আড্ডা, সিনেমা দেখা বেশি আনন্দের। এ বছর পুজোয় তেমন আয়োজন করতে পারেন বাড়িতেই। ঝক্কি বেশি নয়। শুধু কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখুন।
১। এখন সব বাড়িতেই স্মার্ট টিভি। ওটিটি প্ল্যাটফর্মের দৌলতে পছন্দের ছবি দেখা মোটেই ঝক্কির নয়। তবে পরিকল্পনা শুরুর আগে টিভির জায়গাটি ভাল করে পরিষ্কার করে নিন। অনেক সময় স্ক্রিন ঠিকমতো পরিষ্কার করা হয় না। টিভি ক্যাবিনেটে জিনিসপত্র অগোছালো থাকে। এগুলির কোনওটি দৃষ্টিনন্দন। সব কিছু ঝাড়পোঁছ করে সুন্দর ভাবে সাজিয়ে নিন। দেখে নিন, সাউন্ড সিস্টেম ঠিক আছে কি না।
আরও পড়ুন:
২। বাড়ি বসে সিনেমা দেখার সময় বসার জায়গাটি হওয়া দরকার আরামদায়ক। সোফা গুছিয়ে কুশন দিয়ে সাজিয়ে রাখুন। যাতে সিনেমার টান টান উত্তেজনার দৃশ্যের সময় বালিশ কোলে নিয়ে বা পিঠে ঠেস দিয়ে আয়েস করা বসা যায়। ভাল হয়, যদি সোফার নীচেও গদি বিছিয়ে দেওয়া যায়। সেখানেও আরাম করে হাত-পা ছড়িয়ে বসে, শুয়ে সিনেমা দেখা যাবে।
৩। অনেক জন একত্র হলে কোন সিনেমা দেখা হবে, তা নিয়ে মতপার্থক্য হওয়া স্বাভাবিক। প্রত্যেকের পছন্দ চিরকুটে লিখে লটারি করে নিন। তা হলে আর সমস্যা থাকবে না।
৪। খাওয়া ছাড়া সিনেমা জমে না। তবে চিপ্স, কোল্ড ড্রিংকের মধ্যে কোনওটিই কিন্তু বিশেষ স্বাস্থ্যকর নয়। সেগুলি একান্তই রাখতে হলে পরিমিত পরিমাণে রাখতে পারেন। কারণ, সিনেমায় কেউ এক বার মশগুল হলে কী খাচ্ছেন, কতটা খাচ্ছেন হুঁশ থাকে না। চাইলে স্বাস্থ্যকর খাবার, যেমন মাখানা, বাদাম, পপকর্ন, সুইটকর্ন চাট, আলুকাবলি, ঝালমুড়ি— এমন খাবার রাখতে পারেন। চিপ্স বা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খেতে হলে এয়ার ফ্রায়ারে বানিয়ে নিন।
৫। বাড়িতে সিনেমা দেখা, আড্ডার সময় পোশাক যেন হয় ঢিলেঢালা, আরামদায়ক। বিশেষত রাতের দিকে এমন পরিকল্পণা করলে পোশাকের দিকে নজর দেওয়া জরুরি।
৬। পায়ের কাছে নরম কয়েকটি চাদর রাখুন। এসি ঘরে বসে সিনেমা দেখার সময় যাতে ঠান্ডা লাগলে চাদর টেনে নেওয়া যায়। টানটান মুহূর্তে উঠে গিয়ে প্রয়োজনের জিনিস জোগাড় করা বিরক্তির কারণ হতে পারে।