অশ্বগন্ধার গুণের শেষ নেই। সর্দি-কাশি, ফুসফুসের রোগ সারানো থেকে স্নায়ুর রোগের ঝুঁকি কমানো— এই ভেষজ উদ্ভিদটি কাজে লাগে বহু ক্ষেত্রেই। অশ্বগন্ধার গুঁড়ো মেশানো চা খেলে হজমশক্তি বাড়ে, হার্ট ভাল থাকে। এমনকি পুরুষ বন্ধ্যাত্ব সারাতেও নাকি অশ্বগন্ধার বিশেষ ভূমিকা আছে বলেই মনে করা হয়। অশ্বগন্ধা গাছের মূল ও পাতা গুঁড়ো করে তা ফুটিয়ে চা বানিয়ে খেলে অনিদ্রার সমস্যা ঘোচে, মানসিক চাপ থেকেই রেহাই পাওয়া যায়। বহু গুণে সমৃদ্ধ এই ভেষজ উদ্ভিদটি কিন্তু বাড়ির বারান্দাতেই দিব্যি ফলতে পারে। শুধু জেনে নিতে হবে কৌশল।
অশ্বগন্ধা উষ্ণ আবহাওয়াতেই ভাল থাকে। বীজ থেকে গাছ ফলাতে চাইলে প্রথমে মাঝারি মাপের টব কিনুন। বীজগুলি গরম জলে ডুবিয়ে রাখতে হবে ২৪ ঘণ্টা। অঙ্কুর বার হলে সেগুলি টবের মাটিতে ৫ সেমি ব্যবধানে পুঁতে দিন। মাটির ২ সেমি গভীরে বীজ পুঁততে হবে।
আরও পড়ুন:
৭-১০ দিন লাগতে পারে চারা বেরোতে। অশ্বগন্ধা গাছকে নিয়মিত সূর্যালোকে রাখতে হবে। দিনে ৪-৬ ঘণ্টা রোদে রাখতেই হবে। জল দিতে হবে পরিমিত। খেয়াল রাখবেন বেশি জল যেন গাছের গোড়ায় জমে না থাকে। একবার জল দেওয়ার পরে মাটি না শুকনো অবধি ফের জল দেবেন না। বেশি জলে গাছের গোড়া পচে যেতে পারে।
চারা ১৫-২০ সেন্টিমিটারের মতো লম্বা হলে মাটি সমেত তুলে নিয়ে বড় টবে বসাতে হবে। যদি বাগান থাকে, তা হলে সেখানেও পুঁততে পারেন। সে ক্ষেত্রে দু’টি চারার মধ্যে ১৮-২৪ ইঞ্চির ব্যবধান রাখতে হবে। অশ্বগন্ধা গাছ হতে চার থেকে পাঁচ মাসের মতো সময় লাগে।
সাধারণত এই গাছে পোকা ধরে না। তবে যদি মাকড়সা জন্মায় তা হলে জৈব কীটনাশক দিতে হবে। গাছে রাসায়নিক সার দেবেন না। জৈব সার দেওয়া যেতে পারে।