লোহার কড়াই নামিয়ে রান্না করা, তা মেজে ঘষে চকচকে রাখার ঝক্কি এখন অনেকেই নিতে চান না। বাঙালির হেঁশেলে এখন স্টিল বা লোহার কড়াই অথবা পাত্রের বদলে জায়গা করে নিয়েছে ননস্টিকের বাসনপত্র। এতে রান্না করলে তেলও কম লাগে, আবার চটজলদি রান্নাও হয়ে যায়। ব্যস্ততার এই সময়ে তাই ননস্টিকের বাসনের প্রতিই ঝোঁক বেড়েছে গৃহিনীদের। কিন্তু সমস্যাও আছে। ননস্টিকের বাসন ব্যবহার করলেই হল না, তা ঠিকমতো পরিষ্কার করাও জরুরি। বাসনের যত্ন না নিলে খুব তাড়াতাড়ি উপরের পরত উঠতে শুরু করবে। তা হলে জেনে নিন ননস্টিকের বাসনপত্র যত্ন নেওয়ার খুঁটিনাটি টিপ্স।
ননস্টিক কড়াই নষ্ট হয়ে গেলে তা আর ব্যবহার না করাই স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। কিন্তু নষ্ট হয়ে যাওয়ার লক্ষণগুলি চট করে ধরতে না পারায় অনেকেই ওই পাত্রে রান্না করে ফেলেন। এর ফলে শরীরে নানা সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। অথচ সাধারণ কয়েকটি লক্ষণ দেখেই বুঝতে পারবেন যে ননস্টিক পাত্রটি আর ব্যবহারের যোগ্য নেই। যেমন— কড়াই হোক বা ননস্টিক চাটু, অনেকদিন ধরে রান্না করার ফলে একটা সময়ের পর তা হালকা বেঁকে যায়। এই রকম হলে বুঝবেন এবার পাত্রটি বদলানোর সময় এসেছে। অত্যধিক তাপ ও প্রতিনিয়ত রান্না করার ফলে ননস্টিক পাত্রের উপরের কালো স্তরটি একটি সময়ের পর থেকে উঠতে শুরু করে। উঠতে উঠতে এক সময়ে ধূসর হয়ে যায়। সেই বাসনে রান্না করা ক্ষতিকর।
কী ভাবে যত্ন নেবেন?
১) পাত্র গ্যাস থেকে নামিয়েই মাজবেন না। আগে ঠান্ডা হতে দিন। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আসার পরেই সাবান জল দিয়ে ধোবেন।
২) তারের জালি দিয়ে ঘষে ঘষে এই বাসন মাজবেন না। তা হলে উপরের পরত উঠে যাবে খুব তাড়াতাড়ি। নরম স্পঞ্জ বা কাপড় দিয়েই এই ধরনের বাসন মাজতে হবে।
৩) ধাতব বাসনপত্র থেকে আলাদা রাখুন ননস্টিকের বাসন। স্টিলের চামচ বা খুন্তি দিয়ে ননস্টিকের কড়াই বা পাত্রে রান্না করবেন না। এর জন্য বিশেষ কাঠের খুন্তি, হাতা পাওয়া যায়। তাই ব্যবহার করুন। তা হলে আঁচড় পড়বে না।
৪) বাজারচলতি বাসন মাজার সাবান ননস্টিকের বাসনের জন্য উপযুক্ত নয়। হালকা সাবান বা তরল সাবানই ব্যবহার করতে হবে।
৫) ননস্টিক প্যানে তৈরি রান্না ঢালার সময়ে রাবার বা সিলিকনের স্প্যাচুলা ব্যবহার করুন। ধাতুর ছুরি বা চামচ দিয়ে খোঁচাখুঁচি করবেন না। এতে ননস্টিক প্যানে মরচে ধরে যাবে।
৬) ননস্টিক প্যানে খাবার বা তেল না দিয়ে শুধু বাসন আঁচে বসিয়ে রাখবেন না। আর এই ধরনের বাসনের রান্না মাঝারি আঁচে করাই শ্রেয়।