স্নানঘরের সাজসজ্জা। ছবি: সংগৃহীত।
পুজোর সময়ে তাড়াহুড়ো করে বসার ঘর, শোয়ার ঘরে কিছু পরিবর্তন করতে পারলেও শৌচাগারের দিকে তাকানোর সুযোগ হয়নি একেবারেই। কিন্তু বেশির ভাগ মানুষেরই নিজের সঙ্গে একান্তে সময় কাটানোর জায়গা হল এই শৌচাগার। স্নান করতে করতেই যাবতীয় চিন্তাভাবনা, পরিকল্পনা সেরে ফেলেন অনেকেই। আবার অনেকে সারা দিনের ক্লেদ, ক্লান্তি ধুয়ে মন-শরীরকে চনমনে করে নেন এই স্নানঘরেই। তাই বাড়ির অন্যান্য অংশের মতো এই শৌচাগারের অন্দরসজ্জাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কী ভাবে সাজাবেন বাড়ির শৌচাগারটি?
১) সাদা জিনিস ব্যবহার করুন
স্নানঘরের ভোল পাল্টে দিতে যথাসম্ভব সাদা রঙের ব্যবহার করুন। মেঝে, দেওয়াল থেকে তোয়ালে কিংবা শৌচাগারে রাখার আসবাবের রং— সবেতেই সাদা রঙের ছোঁয়া থাকলে দেখতে যেমন ভাল লাগবে, তেমন মনেও থাকবে অদ্ভুত এক প্রশান্তি।
২) আয়নাতে থাক আভিজাত্যের ছোঁয়া
স্নানঘরটি যদি আকারে একটু ছোট হয়, তা হলে এমন ভাবে আয়না রাখুন, যাতে দেখতে তা বড় লাগে। এখন বাজারে বিভিন্ন আকার, আকৃতির আয়না কিনতে পাওয়া যায়। স্নানঘরের দেওয়ালের রং কিংবা যদি কোনও থিম থাকে, তার সঙ্গে মানিয়ে আয়না রাখলেও দেখতে ভাল লাগবে।
৩) আলোতে পরিবর্তন আনুন
আয়নার সঙ্গে স্নানঘরে আলোর অবস্থানও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত আলোর অভাব হলে মানসিক অবসাদ কাটানোর বদলে তা আরও জাঁকিয়ে বসে। প্রয়োজন হলে পুরনো আলোর ব্রাকেট বা হোল্ডার— সবই বদলে ফেলুন।
৪) সবুজের সমাহার
শোয়ার ঘরের সঙ্গে সঙ্গে শৌচাগারেও কিন্তু গাছ রাখা যায়। দূষিত বায়ু পরিশোধন করার পাশাপাশি, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে, মনকে তরতাজা করতে সাহায্য করে এই সবুজের সমাহার। শৌচাগারের থিম এবং রঙের সঙ্গে মানিয়ে পিস লিলি, স্নেক প্লান্ট, ফার্ন কিংবা অর্কিড— সবই রাখা যায়।
৫) শিল্পের ছোঁয়া
দেওয়ালের রং কিংবা থিমের সঙ্গে মানিয়ে ছোট ছোট শোপিস রাখতে পারেন স্নানঘরে। হাতে আঁকা ছোট ছোট ছবি, ফ্রেম, ওয়ালপেপার, ওয়াল হ্যাঙ্গিং রাখলেও দেখতে ভাল লাগবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy