পাহাড়ে গিয়ে জুতো নিয়ে সমস্যায় পড়েন অনেকেই। এই জুতোর মাটি কামড়ানোর ক্ষমতা বেশি তো তাতে পায়ে কড়া পড়ে, ওই জুতো পায়ে খুব ভাল ফিট করে তো তাতে জল ঢোকে। আর সব ঠিক থাকলেও শেষ পর্যন্ত দেখা যায়, ভিতরে হাওয়া ঢুকতে না পেরে পা ঘেমে নেয়ে একাকার।তা হলে পাহাড়ে যাওয়ার জন্য কেমন জুতো আদর্শ? এ ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, মূলত ৩ ধরনের জুতো পাওয়া যায় পাহাড়ে পরার জন্য। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, কোন জুতো কখন পরা যায়।
হাইকিং জুতো: ‘স্পোর্টস শ্যু’ বলতে যা বোঝায়, এটা তেমনই। তবে এর ‘গ্রিপ’ তুলনায় শক্তিশালী। ফলে মাটি কামড়ানোর ক্ষমতা বেশি।
কখন পরা যায়:
- পাহাড়ে ১-২ দিনের হাঁটাহাঁটির জন্য ভাল।
- পিঠে ভারী বোঝা বইতে হলে এই জুতো একেবারেই আদর্শ নয়।
- বৃষ্টি বা বরফ পড়ার মতো জায়গায় না পরাই ভাল।
ট্রেকিং জুতো: হাইকিং জুতোর থেকে অনেক বেশি শক্তপোক্ত হয়। ‘গ্রিপ’ আরও ভাল হয়। এই জুতোর বৈশিষ্ট্য হল, এতে গোড়ালির পিছনে ভাল গদির প্যাড থাকে। ফলে পায়ের ওই অংশে ব্যথা হয় না।
কখন পরা যায়:
- পাহাড়ে একটু লম্বা ট্রেকের জন্য ভাল। দিন সাতেক বা তার বেশি দিনের ট্রেক হলে এমন জুতোই পরতে হবে।
- পিঠের ব্যাগের ওজন ৭ কিলোগ্রামের বেশি হলে এই জুতো পরা ভাল।
- বরফ এবং বৃষ্টির মধ্যেও এই জুতো পা সামলে রাখে।
- জল আটকাতে পারে ভাল। ফলে জুতোর ভিতরে পা ভেজে না।
মাউন্টেনিয়ারিং জুতো: কোনও ধরনের ট্রেকিং বা পাহাড়ে হাঁটার সময় এই জুতোর দরকার হয় না। যাঁরা পর্বতারোহণ করেন, তাঁদের জন্য এই জুতো আদর্শ।
কখন পরা যায়:
- যখন পর্বতারোহণ করতে হয়, তখন এই জুতো পরতেই হবে।
- বরফ বা পাথুরে ভূমিরূপের মধ্যে দিয়ে পাহাড় বেয়ে উঠতে হলে এই জুতো কাজে লাগে।
- সাধারণ ট্রেকিংয়েও বহু সময় হিমবাহের উপর দিয়ে যেতে হয়। পথে খুব বেশি হিমবাহ থাকলে মাউন্টেনিয়ারিং জুতো পরা উচিত।