বাজার এখন ধীরে ধীরে ফুলকপিতে ভরে উঠছে। আগামী কয়েক মাস মাছের ঝোল থেকে পাঁচমিশালি তরকারি, সবেতেই এই সব্জির আধিক্য চোখে পড়তে পারে। টাটকা মরসুমি সব্জির স্বাদই আলাদা! কিন্তু যদি এই সব্জিই স্বাস্থ্যহানির ঝুঁকি নিয়ে আসে? ফুলকপিতে লুকিয়ে থাকে পোকা। কখনও চোখে পড়ে, কখনও বা নজর এড়িয়ে যায়। তা ছাড়া ময়লা জমে থাকে ফুলগুলির ভাঁজে ভাঁজে। খালিচোখে যতটুকু চোখে পড়ে, অনেকেই ততটুকু ফেলে দিয়ে জলে ধুয়ে রান্না বসিয়ে দেন। কিন্তু তাতে নানা রোগ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। সে ক্ষেত্রে কী ভাবে পরিষ্কার করলে এই ঝুঁকি থেকে মুক্তি পাবেন?
এমনিতেই ফুলকপিতে মাটি, রাসায়নিক লেগে থাকে। সেগুলি সরানোরও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। উপরন্তু পোকার উৎপাত! তাই বিশেষ পদ্ধতিতে পরিষ্কার করা দরকার। হেঁশেলেরই সাধারণ কিছু উপাদান দিয়ে পরিষ্কার করা যাবে।
ফুলকপি পরিষ্কার রাখার বিশেষ পদ্ধতি। ছবি: সংগৃহীত।
কী কী প্রয়োজন?
১টি বড় পাত্র
উষ্ণ জল (ফুটন্ত নয়)
২ টেবিল চামচ নুন
অর্ধেক চা চামচ হলুদগুঁড়ো
১ চা চামচ ভিনিগার (না দিলেও চলে)
আরও পড়ুন:
পদ্ধতি
প্রথমে ফুলকপিটি ভাল করে কেটে নিতে হবে। সবুজ পাতাগুলি ছিঁড়ে বাদ দিয়ে দিন। তার পর মাঝারি আকারে ফুলগুলি কেটে নিন। খুব ছোট করে কাটবেন না। অন্য দিকে বড় পাত্রে গরম জল নিয়ে তাতে নুন আর হলুদ মিশিয়ে নিন। যদি দেখেন, কপিটি অত্যন্ত নোংরা, তা হলে অল্প ভিনিগার ঢেলে দিতে পারেন। নুনের সুবিধা হল, কপি থেকে ময়লা আলাদা করতে পারবে আর লুকিয়ে থাকা পোকাকে মেরে দেবে। হলুদে থাকে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল বৈশিষ্ট্য। আর ভিনিগার মৃদু জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে।
এ বার সেই জলে ফুলকপির টুকরোগুলি মিশিয়ে অপেক্ষা করতে হবে। ২০ মিনিট পরে দেখতে পাবেন, পাত্রের জলের উপরিতলে ময়লা ভাসছে। পোকা থেকে থাকলে, সেগুলিও কিলবিলিয়ে জলের উপরে উঠে আসছে। এই জল ফেলে দিয়ে কল খুলে তারপ নীচে টুকরোগুলি রেখে দিন। হাত দিয়ে প্রত্যেকটি টুকরো আলাদা আলাদা করে আলতো ঘষে নিন।
ধোয়া হয়ে যাওয়ার পর নরম তোয়ালের উপর টুকরোগুলিকে শুকোতে দিন। এই ধাপটি অনেকেই বাদ দিয়ে ফেলেন। কিন্তু রান্নার সময়ে যদি ভেজা থাকে ফুলকপিগুলি, তা হলে মুচমুচে ভাব আর থাকবে না। বিশেষ করে যদি এয়ার ফ্রাই বা তেলে ভাজার পরিকল্পনা করেন, তা হলে খাবারের স্বাদ ও টেক্সচার নষ্ট হয়ে যাবে।