দুর্গাপুজো মানেই জমিয়ে খাওয়া। ডায়েট, পুষ্টি, ক্যালোরির মাপামাপি কয়েক দিনের জন্য বাদ। অতিথি আপ্যায়নে মাছ থেকে মাংস, রকমারি মিষ্টি, ভাজা বাদ নেই কিছুই। তবে গলা ভেজানোর বন্দোবস্ত করেছেন কি?
গরম এখনও বেশ। এমন সময় ঠান্ডা পানীয়ে চুমুক দিতে ভাল লাগে। বাজারচলতি কার্বোনেটেড পানীয় নয়, বরং বাড়িতেই অন্যরকম কিছু বানিয়ে নিন।
আরও পড়ুন:
পান মকটেল: খাওয়ার শেষে একটা মিঠেপাতার পান বড়ই তৃপ্তিদায়ক। তবে পানের পানীয় ভোজের শুরুতেও খাওয়া যায়। পানের রসে খাবার হজম করার উপাদান থাকে।
পানীয়ের জন্য টাটকা পানপাতা ধুয়ে কুচিয়ে নিন। মিঠেপাতা হলেই ভাল। বোঁটা ছাড়িয়ে বাকিটা মিক্সারে দিন। যোগ করুন একটু মৌরি, সামান্য ছোট এলাচ, আর দিতে পারেন একটু গুলকন্দ। পানের দোকানে জিনিসটির জোগান থাকে। বেশ কিছুটা জল দিয়ে মিক্সার ঘুরিয়ে নিন। কাচের গ্লাসে বরফকুচি দিয়ে পানের মিশ্রণটি ছাঁকনি রেখে ঢেলে দিন। সাজানোর জন্য পানপাতা মুড়ে গ্লাসে ভরে দিতে পারেন।
সিন্ডারেলা মকটেল: দেখতে ভারি সুন্দর হয়, হালকা গোলাপি রঙের। কাচের গ্লাসে আধখানা করে কাটা পাতিলেবুর রস এবং পুদিনাপাতা দিয়ে কাঠের খুন্তির পিছনের অংশ দিয়ে থেঁতো করে দিন।যোগ করুন বরফকুচি। চিনির রস দিন সামান্য। একটু সৈন্ধব লবণ দিয়ে বেদানার রস ঢেলে দিন। বাড়িতে করা টাটকা বেদানার রস দিলে খেতে যে নিঃসন্দেহে বেশি ভাল হবে, বলা যায়। তবে পুজোর হাজার কাজে সেই ঝক্কি পোহাতে না চাইলে বেদানার রস কিনে রাখুন।
শসা-কিউয়ির মকটেল: কিউয়ি ফলটি এখন রাস্তার ধারের ফলের দোকানেও সব সময় মজুত থাকে। এই ফল উপকারী তো বটেই, খেতেও ভাল। শসা, কিউয়ি খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করে মিক্সারে ভরুন। পাতিলেবুর রস, পুদিনাপাতা, সামান্য একটু চিনির সিরাপ দিয়ে ঘুরিয়ে নিন। কাচের গ্লাসে বরফ দিয়ে পাতলা করে কাটা শসা এবং কিউয়ির টুকরো এমন ভাবে ভরে দিন, যাতে গ্লাসের গায়ে আটকে থাকে। উপর থেকে মিশ্রণটি ঢেলে পরিবেশন করুন।