বাড়িতে আচার বানানো মানেই দিনের পর দিন অপেক্ষা। সমস্ত উপকরণ জোগাড় করে পদ্ধতি মেনে আচার তৈরি করলেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। নির্দিষ্ট সময়ের আগে আচারের স্বাদ ও ঘ্রাণ তৈরিই হয় না। রসে সব্জি-ফল মজানোর প্রক্রিয়ায় সপ্তাহ ঘুরে যায়। কিন্তু বিশেষ এক প্রকার আচার বানানোর পন্থা শিখে নিতে পারেন, যেখানে প্রয়োজন কেবল একটি দিনই। টাটকা শসা দিয়ে সহজেই তৈরি করা যায় টক-মিষ্টি আচার। প্রস্তুতপ্রণালীও একেবারে ঝক্কিহীন। দুপুরের ভাত, রুটি কিংবা সন্ধের জলখাবারের সঙ্গে এই আচারের ঝাঁঝালো স্বাদ রসনাতৃপ্তি বাড়িয়ে তুলতে পারে। বাজার থেকে কেনা আচারের বদলে ঘরের তাজা উপকরণে তৈরি এই আচারের স্বাদ অনেক বেশি। তা ছাড়া সময় এবং খরচও বাঁচবে। পাশাপাশি, সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি বলে এই আচারে স্বাস্থ্যগুণও রয়েছে। এই আচারের ক্যালোরি কম। শরীরে জলের ঘাটতি মেটায়। ভিটামিন কে, ভিটামিন সি এবং পটাসিয়ামে ভরপুর। হজমক্ষমতাও বৃদ্ধি করতে পারে।
শসার আচারের সহজ রেসিপি। ছবি: সংগৃহীত।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
২–৩টি মাঝারি আকারের শসা
সমান পরিমাণ ভিনিগার ও জল (সাদা ভিনিগার বা অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার)
নুন স্বাদমতো
সামান্য মধু বা চিনি অথবা মেপ্ল সিরাপ (না-ও দিতে পারেন)
গোটা সর্ষে, গোটা ধনে, গোলমরিচ এবং শুকনো লঙ্কা (চিলি ফ্লেক্স)
রসুন বা আদা অথবা পেঁয়াজের কুচি (নিজের স্বাদ অনুযায়ী যেটি ইচ্ছে দেওয়া যায়)
আরও পড়ুন:
সহজ প্রস্তুতপ্রণালী
টাটকা শসাগুলি ভাল করে ধুয়ে পাতলা ও গোল করে অথবা লম্বা লম্বা করে কেটে নিন। একটি হাঁড়িতে ভিনিগার, জল, নুন, চিনি এবং রসুন-আদা-পেঁয়াজ প্রয়োজন মতো একসঙ্গে মিশিয়ে একটু গরম করুন। তত ক্ষণ স্টোভে রাখুন, যত ক্ষণ না নুন পুরো গলে যায়। এই রস দিয়েই তৈরি হবে আচারটি। তার পর সেই রসে সর্ষে, ধনে এবং গোলমরিচ যোগ করলে ঝাঁঝালো ঘ্রাণ নাকে আসবে। একটি পরিষ্কার কাচের বয়ামে কাটা শসাগুলি ভরে ভরে রাখুন। তার উপর রস ঢেলে দিন (যেন খুব গরম না থাকে রস)। দেখবেন, যাতে প্রত্যেকটি টুকরো রসে ডুবে যায়। এ বার কাচের বয়ামটির ঢাকনা বন্ধ করে ফ্রিজে রাখুন। ৪-৬ ঘণ্টা পরেই আপনার আচার প্রস্তুত। তবে আরও একটি দিন অপেক্ষা করলে স্বাদ আরও বৃদ্ধি পাবে।
ছোট কয়েকটি টিপ্স
· বাসি বা নরম শসা নয়, একেবারে টাটকা ব্যবহার করুন।
· একই রসে নতুন শসা দিয়ে আবারও আচার বানানো যায়।
· ঠান্ডায় রাখলে এক থেকে দু’সপ্তাহ পর্যন্ত ভাল থাকে।