অফিসের কাজে ল্যাপটপ বা ট্যাব নিয়ে যাতায়াত করতে হয়? এ দিকে এখনও বর্ষা না এলেও কখনও যে ঝেঁপে বৃষ্টি আসে, তার ঠিক-ঠিকানা নেই। তার সঙ্গে জুড়ছে নিম্নচাপের ভ্রুকুটি। বৃষ্টি থেকে বাঁচতে ব্যাগে ছাতা রাখলেও, মুষলধারায় বৃষ্টি এলে ব্যাগ পুরোপুরি বাঁচানো অসম্ভব হয়ে পড়ে। তা ছাড়া অসবধানে ব্যাগ ভিজে গেলে নষ্ট হতে পারে ল্যাপটপটিও। বর্ষার মরসুম হোক বা নিম্নচাপের বৃষ্টি, জলের হাত থেকে কাজের জিনিসটি সুরক্ষিত রাখবেন কোন উপায়ে?
জলনিরোধক ব্যাগ: বৃষ্টির হাত থেকে ল্যাপটপ বাঁচানোর সবচেয়ে ভাল উপায় জলনিরোধী ল্যাপটপ কেস বা স্লিভ কভার। পাশাপাশি যদি ব্যাকপ্যাকটিও জলনিরোধী হয়, তা হলে সুরক্ষার বর্ম আরও মজবুত হবে। প্যাডেড ল্যাপটপ কেস ধাক্কাধাক্কির হাত থেকে যন্ত্রটিকে বাঁচায়। যাতে ল্যাপটপ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। তবে সেটি যদি জলনিরোধক হয়, তা হলে বৃষ্টিতেও ল্যাপটপ ভিজবে না।
সিলিকা জেল: বর্ষার মরসুম হলে বা নিম্নচাপের দরুন টানা বৃষ্টির সতর্কতা থাকলে ব্যাগে রাখুন সিলিকা জেলের প্যাকেট। অনেক সময় ব্যাগ ভিজে গিয়ে বা জলীয় বাষ্পের দরুন স্যাঁতসেতে হয়ে যায়। এর ফলেও ল্যাপটপের যন্ত্রাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সিলিকা জেল অতিরিক্ত আর্দ্রতা শুষে ব্যাগ শুকনো রাখতে সাহায্য করবে।
স্ক্রিনের এবং কিবোর্ডের সুরক্ষা: বাইরে থেকে যতই সুরক্ষা দেওয়া হোক না কেন, কখনও বৃষ্টির জল লেগে যেতেই পারে। আবার কখনও খেতে গিয়েও জল, চা-কফি পড়ে যেতে পারে। ল্যাপটপের স্ক্রিন এবং কিবোর্ডের সুরক্ষায় ‘প্রোটেকটর’ ব্যবহার করতে পারেন।
ডেটা সুরক্ষিত রাখুন: তবে অনেক রকম চেষ্টা সত্ত্বেও ল্যাপটপ দুর্ঘটনাবশত জলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সে কারণে জরুরি তথ্যের ‘ব্যাকআপ’ রাখা জরুরি। ল্যাপটপ ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেটি সারাতে দিলে, তথ্য বেহাত হতে পারে বা উড়ে যেতে পারে।
ভিজে গেলে সতর্কতা: কোনও কারণে ল্যাপটপ ভিজে গেলে সেই অবস্থায় বিদ্যুৎ সংযোগ করা অনুচিত। ল্যাপটপ দ্রুত শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিতে হবে। সম্ভব হলে ব্যাটারি খুলে দিতে হবে। ২৪-৪৮ ঘণ্টা ভাল করে জল না শুকোলে সেটি চালানো উচিত নয়। ল্যাপটপ কাজ না করলে পেশাদারদের সাহায্য নেওয়া দরকার।