ডায়েটের হাজারো নিয়ম, ফর্মুলা মেনে চলার আগে মাথায় রাখতে হবে আমরা কেন খাই। আমাদের বৃদ্ধি ও বিকাশের জোগান দেয় খাবার। ছোট বেলায় বাবা, মায়েরা আমাদের পুষ্টিকর খাবার দিয়ে থাকেন। কিন্তু বড় হতে হতে যখন আমরা নিজেরা খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করি, তখনই স্বাস্থ্যকর খাবারের বদলে আস্তে আস্তে যোগ হতে থাকে সুগার ড্রিঙ্ক, পিজা, ফাস্ট ফুড। আবার মোটা হয়ে যাওয়ার ভয় স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে যা খেতে শুরু করি আপাত স্বাস্থ্যকর সেই সব খাবারেও ভর্তি ট্রান্স ফ্যাট, হাই সুগার। ডায়েটিশিয়ানরা জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য ভাল রাখার এক সহজ ফর্মুলা। থ্রি আর অ্যাপ্রোচ (3 R Approach)। বাচ্চারা নিজেদের অজান্তেই মেনে চলে থ্রি আর। যদি সারা জীবন খাওয়ার ব্যাপারে থ্রি আর নিয়ম মেনে চলতে পারেন, তা হলে কখনই মোটা হবেন না।
রিইনফোর্স (জোর করা)
না মানে না। বাচ্চাদের না মানে কিন্তু ‘চলতে পারে’ নয়। যদি বাচ্চারা মনে করে আরও খাওয়া প্রয়োজন তা হলে অবশ্যই খাবে। ঠিক সে ভাবেই খাবার নষ্ট হবে বলে জোর করে খাওয়া বা নিমন্ত্রণ খেতে গিয়ে জোরাজুরি করলে ‘না’ বলতে শিখুন।
রেগুলেট (নিয়ন্ত্রণ)
নিজের বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া আপনি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। কিন্তু নিমন্ত্রণ বাড়িতে গেলে? অনেক সময়ই রাশ থাকে না। বাড়িতে অতিরিক্ত খাবার আনার উপর রাশ টানতে পারেন, যদি পরিমিত খাওয়াই আপনার অভ্যাস হয়ে যায়, তা হলে নিমন্ত্রণ খেতে গিয়েও কখনই তা মাত্রা ছাড়াবে না।
আরও পড়ুন: কী ভাবে আমাদের সাহায্য করে রমজানের উপোস?
রিডিউস (কমানো)
প্যাকেজড ফুড খাওয়ার অভ্যাস কমান। শুধু বাড়ির বাইরে নয়, বাড়িতেও। খাবার কেনার সময় ফুড লেবেল ভাল করে পড়ে নিন। ট্রান্স ফ্যাট ও মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট থাকলে সতর্ক হয়ে যান। নিজেদের ক্ষেত্রেও, বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও। ছোট থেকে প্যাকেজড ফুড খাওয়ার অভ্যাস তৈরি না করলে বড় হওয়ার পর সেই অভ্যাস বজায় রাখবে নিজেরাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy