প্রতীকী ছবি।
প্রিয় মিষ্টিটা সবে ফ্রিজ থেকে বার করে খাওয়ার জন্য মুখে পুরবেন, তখনই অঘটনটা ঘটল! হাত থেকে পিছলে মাটিতে পড়ে গেল মিষ্টিটা। আপনি আর পাঁচজনের মতোই সেটা তুলে বোঝার চেষ্টা করলেন, মিষ্টিটা খাওয়া ঠিক হবে কি না, এবং কিছুটা কষ্ট হলেও মিষ্টিটা শেষ পর্যন্ত ময়লার বালতিতে ফেলেই দিলেন। মাটিতে পড়ে যাওয়া খাবার যে খেতে নেই, তা আমরা সকলেই ছোট থেকে শুনে এসেছি।
কিন্তু কেউ কেউ রয়েছেন, যাঁরা ৫ সেকেন্ডের নিয়মে বিশ্বাসী। মানে কোনও খাবার মাটিতে পড়ে গেলে, তাঁরা মনে করেন ৫ সেকেন্ডের মধ্যে তুলে ফেলতে পারলে মাটির জীবাণুগুলি খাবারে আসার সময় পায় না। তাই সেই খাবার নিশ্চিন্তে খাওয়াই যায়। কিন্তু এই থিয়োরির সত্যতা কতটা?
বিজ্ঞান বলছে, যে মুহূর্তে কোনও খাবার মাটিতে পড়ে যায় বা যে কোনও অন্য জিনিসের সংস্পর্শে আসে, তখনই বেশ কিছু ব্যাকটিরিয়া খাবারে ঢুকে যায়। কিন্তু সেগুলি কোন ধরনের ব্যাকটিরিয়া, উপকারি না ক্ষতিকর, তা বোঝার কোনও উপায় নেই। সবচেয়ে বড় কথা, আপনি যেমন আপনার হাতটা স্যানিটাইজ করে নিতে পারেন, খাবার সে ভাবে স্যানিটাইজ করা যায় না।
তবে একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে, কোন জায়গায় খাবার পড়ছে, এবং কী ধরনের খাবার পড়ছে, তার উপরও নির্ভর করে কত তাড়াতাড়ি খাবারে জীবাণু প্রবেশ করবে। আমেরিকার রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কার্পেটের মতো জিনিসের উপর খাবার পড়লে, সংক্রমণের সময় অনেকটা বেশি। কিন্তু কাঠ, স্টিল, টাইলসের মতো জিনিসে পড়লে খুব তাড়াতাড়ি জীবাণু খাবারে চলে যাবে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে এক সেকেন্ডেরও কম সময় লাগে। আবার কোন ধরনের খাবার পড়ছে, তার উপরও নির্ভর করে সংক্রমণের সময়। ধরুন যদি তরমুজের মতো আর্দ্র খাবার হয়, তা হলে অনেক তাড়াতাড়ি জীবাণু চলে যেতে পারে খাবারে।
মাটিতে পড়ে গেলে সে খাবার আর না খাওয়াই ভাল। তা-ও অনেকে কিছু কিছু শুকনো খাবার তুলে আরেক বার ধুয়ে খেয়ে নেন। তবে এ ক্ষেত্রে অন্তঃসত্ত্বা মহিলারা, বাচ্চারা, যাঁদের দীর্ঘ কোনও অসুখ রয়েছে বা যাঁদের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কোনও কারণে কম, তাঁদের মাটি থেকে তুলে খাবার না খাওয়াই ভাল। অনেক বেশি জটিলতা তৈরি হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy