ভাত বা রুটির সঙ্গে বা স্যালাডে কাঁচা পেঁয়াজ রাখাই হয় মাঝেমাঝে। রোজকার খাদ্যতালিকায় জুড়ে নিতে পারেন পেঁয়াজকে। মোটামুটি সারা বছরই পেঁয়াজ পাওয়া যায়। তা ছাড়া গরম পড়ার মুখে সিজ়নাল রোগবালাই থেকেও দূরে রাখতে সাহায্য করবে পেঁয়াজ।
গুণ অনেক
পুষ্টিবিদ সুবর্ণা রায়চৌধুরীর কথায়, ‘‘পেঁয়াজ প্রিবায়োটিকের কাজ করে। ফলে অন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখে। এ ছাড়াও শরীরে খনিজ শোষণ করতেও সহায়ক। পেঁয়াজেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিনস ও মিনারেলস পাওয়া যায়। পেঁয়াজের মধ্যে থাকা ফ্ল্যাভনয়েডস হার্ট ভাল রাখতেও খুব কার্যকর। একই সঙ্গে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে রাখে। অন্য দিকে এতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস থাকায় রোগ প্রতিরোধ করে, ক্লান্তি কাটাতেও সহায়ক।’’ তাই যাঁরা খুব গরমে রাস্তায় ঘুরে কাজ করেন, তাঁরা স্যালাডে বা খাবারের পাতে অবশ্যই কাঁচা পেঁয়াজ রাখবেন।
কী ভাবে খাবেন?
কাঁচা অবস্থায় খেলে ভিটামিনস ও খনিজ সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। তবে কাঁচা পেঁয়াজে মুখে গন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অনেকের অম্বল, বদহজমের সমস্যাও থাকে, তাঁরা সিদ্ধ করে খেতে পারেন। তবে সিদ্ধ খাওয়ার চেয়ে কাঁচা পেঁয়াজ কম পরিমাণে খাওয়াই ভাল।
অনিয়ন জুসও খেতে পারেন নিয়মিত। বাচ্চাদেরও কাঁচা পেঁয়াজ দিতে পারেন। তবে সকালের দিকে ওদের কাঁচা পেঁয়াজ দিন। এতে হজম ভাল হবে।
বড় পেঁয়াজের চেয়ে ছাঁচি পেঁয়াজের গুণ বেশি। তাই এক-আধটা ছাঁচি পেঁয়াজও রাখতে পারেন খাদ্যতালিকায়।
তবে পেঁয়াজ খাওয়া ভাল বলে অতিরিক্ত পেঁয়াজ খেলে বদহজমের সমস্যা বাড়বে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ দিনে ২টি কাঁচা পেঁয়াজ খেতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy