ব্যস্ত জীবনে অবসাদ বা উদ্বেগ যে কোনও সময়ে মনে হানা দিতে পারে। সাধারণত বলা হয়, ছাত্রজীবন বা পেশাগত জীবনে প্রবেশ করার পর জীবনে উদ্বেগের পরিমাণ বাড়ে। কিন্তু মনোবিদেরা জানিয়েছেন, ৬ থেকে ১১ বছর বয়সি শিশুরাও উদ্বেগের শিকার হতে পারে। সন্তানের মধ্যে সাতটি লক্ষণ প্রত্যক্ষ করলে অভিভাবকদের সতর্ক হওয়া উচিত।
আরও পড়ুন:
১) শিশুর যদি ঘন ঘন পেটব্যথা বা মাথা যন্ত্রণা হয়, তা হলে সতর্ক হওয়া উচিত। অনেক সময়েই কোনও সামাজিক অনুষ্ঠান বা স্কুলে যাওয়ার আগে তাদের মধ্যে এই ধরনের প্রবণতা লক্ষ করা যায়।
২) সন্তান যদি জানায়, সে ঘুমোতে পারছে না, তা হলে অবিলম্বে সাবধান হওয়া উচিত। কোনও দুঃস্বপ্ন বা অনিদ্রা থেকেও সন্তান কোনও রকম আশঙ্কায় ভুগতে পারে।
৩) সন্তান যদি ঘন ঘন স্কুল বা কোনও সামাজিক অনুষ্ঠানে যেতে অনীহা প্রকাশ করে, তা হলে বুঝতে হবে সে কোনও রকম উদ্বেগে ভুগছে। অভিভাবকের তরফে বিষয়টি নিয়ে তার সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলা উচিত।
৪) সন্তান একই প্রশ্ন বার বার করতে পারে। আবার যদি সে স্বস্তি পাচ্ছে না— এই মর্মে বার বার বাবা-মায়ের কাছে কিছু জানায়, সে ক্ষেত্রে বুঝতে হবে সন্তানের মনে কোনও রকম আশঙ্কা দানা বেঁধেছে।
৫) সন্তানের যদি ঘন ঘন মেজাজ বিগড়ে যায় বা সে যদি খিটখিট করে, তা হলে সাবধান হওয়া উচিত। সন্তানের হতাশা, ক্রোধ বা কান্নার মতো আবেগকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত।
৬) পড়াশোনা ছাড়াও কোনও বিষয়ে যদি সন্তানের একাগ্রতার অভাব লক্ষ করা যায়, তা হলে সাবধান হতে হবে। এই ধরনের সমস্যা হলে অনেক সময় অল্পবয়সিদের সাধারণ কোনও কাজ করতেও সমস্যা হতে পারে।
৭) সন্তান হঠাৎ করে একা থাকতে শুরু করতে পারে। সকলের সঙ্গে না মিশে একা সময় কাটালে বা দিনের বেশির ভাগ সময় সন্তান চুপচাপ থাকলে বুঝতে হবে, কোনও রকম সমস্যা তৈরি হয়েছে। একাকিত্ব বাড়লে, তা থেকে অনেক সময় সন্তানের মনে কোনও রকম উদ্বেগ সৃষ্টি হতে পারে।