চিনের এক মহিলা জানতেন, জন্মের কিছু দিনের মধ্যেই তাঁর ছেলেকে তিনি হারিয়েছেন। প্রতীকী ছবি।
এ যেন নব্বইয়ের দশকে হিন্দি ছবির কাহিনি! ছবির নায়ক ছেলেবেলায় বাবা-মায়ের থেকে কোনও কারণে আলাদা হয়ে যায়, আবার বছর কুড়ি পর হয় মিলন। এখন যদিও হিন্দি ছবির গল্পে বদল এসেছে। তবে সম্প্রতি ছবির পর্দায় নয়, বাস্তবে ঘটেছে এমন ঘটনা। তবে ভারতে নয়, ঘটনাটি ঘটেছে চিনে।
চিনের এক মহিলা জানতেন জন্মের কিছু দিনের মধ্যেই তাঁর ছেলেকে তিনি হারিয়েছেন। বছর সতেরো পর তিনি জানতে পারেন তাঁর ছেলে জীবিত আছে। জিয়াংসু প্রদেশের ঝাং কাইহং এখন জানতে পারলেন যে, তাঁর পরিবারেরই এক সদস্য তাঁর ছেলেকে চুরি করে নেয়।
তার ছেলের জন্মের আগে ঝাং ভয় পেয়েছিলেন যে, তাঁর প্রাক্তন স্বামী এবং তাঁর পরিবার শিশুর ক্ষতি করতে পারে। তাই তিনি নিজের খুড়তোতো ভাইয়ের বাড়িতে সন্তান প্রসব করার সিদ্ধান্ত নেন। প্রসবের দিন ঝাংকে জানানো হয় তাঁর ছেলে শারীরিক অক্ষমতা নিয়ে জন্মেছে। তার দু’টো পা-ই নাকি পক্ষাঘাতগ্রস্ত। তাঁকে বলা হয় ছেলেটিকে তাঁরা দেখাশোনা করে, চিকিৎসা করিয়ে ভাল করে তুলবে। পরিবারের সদস্যদের উপর ভরসা করেই শিশুকে রেখে বাড়ি চলে যান ঝাং। তবে পরে জানানো হয় ছেলেটি মারা গিয়েছে।
সম্প্রতি ঝাং জানতে পারেন যে তাঁর ছেলে এখনও জীবিত। স্কুলে পড়াশোনা করছে সে। হঠাৎ ভাইয়ের শ্যালিকার ছেলেকে দেখে তাঁর মনে হয় ছেলেটির মুখের সঙ্গে তাঁর প্রাক্তন স্বামীর মিল রয়েছে। সন্দেহের বশে কায়দা করে তিনি ছেলেটির ডিএনএ পরীক্ষা করান। তখনই তিনি জানতে পারেন ছেলেটি আদতে তাঁরই।
ঝাং এখন চান, তাঁর ছেলে তাঁরই সঙ্গে থাকুক। তবে ছেলেটির বাবা-মা এখন ছেলেকে ছাড়তে নারাজ। ছেলেটির বাবা-মা এখন ঝাং এক কাছ থেকে টাকা চাইছেন। টাকা পেলেই নাকি তাঁরা তাঁদের দত্তক পুত্রকে ছাড়বে, নইলে নয়। ঝাং-এর বক্তব্য, অন্যায় ভাবে তাঁর ছেলেকে তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে, এই দত্তক প্রক্রিয়া মোটেই আইনত হয়নি। তাই তিনি কোনও টাকাই দেবেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy