সন্তানের সৃজনশীলতায় কোনও রকম বাধা দেওয়া উচিত নয়। ছবি: প্রতীকী
রং-পেনসিল পেলেই আঁকতে বসে যায়? কিংবা পরিচিত গানের সুরে নেচে ওঠে নিজে নিজেই? অনেকেই শৈশবের খেয়াল বলে উড়িয়ে দেন বিষয়গুলি। অথচ অবহেলা না করলে এই ছোট ছোট জিনিসগুলিই সৃজনধর্মী কোনও গুণ হয়ে ফুটে উঠতে পারে। তাই সন্তানের সৃজনশীলতায় কোনও রকম বাধা দেওয়া উচিত নয়। বরং কী ভাবে তার উদ্ভাবনী ক্ষমতা আরও প্রস্ফুটিত হবে, নজর দিতে হবে সে দিকে। আবার অতিরিক্ত চাপে যেন শিশুদের বেড়ে ওঠার নিজস্ব ছন্দ বিঘ্নিত না হয়, খেয়াল রাখতে হবে সে দিকেও।
১। ছবি আঁকা, গান গাওয়া, কিংবা আবৃত্তি করা, যে বিষয়ে সন্তানের আগ্রহ, তাতে উৎসাহ দিন তাকে। সন্তান কোনও ছবি আঁকলে কী ভাবে ছবিটি আরও ভাল হতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনা করুন। গান ভালবাসলে আরও ভাল ভাল গান শোনার ব্যবস্থা করে দিন। সঙ্গীতচর্চার সুযোগ করে দিন। প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন, কোনও কিছুই যেন লাগামছাড়া না হয়। নিজের ইচ্ছে সন্তানের উপর না চাপিয়ে দেওয়াই ভাল।
২। অন্য শিশুদের সঙ্গে তুলনা করবেন না। যদি কয়েক দিন গান শেখার পর তার মনে হয়, আর গান গাইতে ইচ্ছে করছে না, অন্য কিছু করতে ইচ্ছে করছে, তবে বাধা দেবেন না। হতেই পারে, কিছু দিন পর পর তার ভাল লাগা বদলে বদলে যাচ্ছে। তা বলে আপনি ধৈর্য হারিয়ে ফেলবেন না। সন্তানকে তার মনের মতো কাজ করতে দিন।
৩। সন্তানকে কেবল নতুন নতুন জিনিস কিনে দিয়ে কিংবা প্রশিক্ষকের হাতে ছেড়ে দিলেই হবে না, তাকে সঙ্গ দেওয়াও জরুরি। কাজের চাপে অনেক সময় বাবা-মা সন্তানকে ব্যস্ত রাখতে তাদের হাতে ফোন কিংবা ল্যাপটপ তুলে দেন। যেটুকু সময় সন্তানের সঙ্গে কাটাবেন এমন কোনও নতুন খেলা খেলুন, যাতে তাকেও বুদ্ধি খাটাতে হয়। সব সময়ে বিনোদনমূলক জায়গায় বেড়াতে না নিয়ে গিয়ে ছোটদের জাদুঘর বা তারামণ্ডলের মতো জায়াগায় নিয়ে যান।
৪। মনে রাখবেন, শুধু নাচ-গান-আঁকাই নয়, ছোটদের সৃজনশীলতার পরিচয় পেতে পারেন নানা ভাবে। চার দেওয়ালের মধ্যে শিশুকে আটকে রাখবেন না। বাইরের দুনিয়া না দেখলে তাদের কল্পনাশক্তিও একটা জায়গায় গিয়ে আটকে যাবে। তাই সপরিবারে মাঝেমাঝে ঘুরতে যান। কোনও পাহাড় বা সমুদ্রে থেকে ঘুরে আসুন। জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ছোটদের পশুপাখি দেখাতে শেখান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy