স্কুল থেকে ফিরে ঘুম নয়, বিকেলের কোন কোন অভ্যাস শিশুর একাগ্রতা বাড়াবে

স্কুল থেকে ফেরার পরে শিশু কি অনেক ক্ষণ ধরে ঘুমিয়ে থাকে? অনেকেই আবার বাড়ি ফেরার পরেই শিশুকে পড়তে বসিয়ে দেন। এই দুই অভ্যাসের কোনওটাই ভাল নয়। বরং বিকেলের দিকে শিশুকে এমন কিছু অভ্যাস রপ্ত করাতে হবে, যাতে তার ক্লান্তি ভাব দূর হয়, শরীর চনমনে থাকে এবং পড়াশোনাতেও মন বসে।

স্কুল থেকে ফেরার পরে প্রথম কাজ হবে খাওয়াদাওয়ার পরে বিশ্রাম নেওয়া। তবে তা দিবানিদ্রা যেন না হয়। শিশু দুপুরে বা বিকেলে যখনই ফিরুক না কেন, ওই সময়টাতে তার নিজের শখের কিছু কাজ করতে দিতে হবে। কোনও ভাবেই টিভি দেখানো বা হাতে মোবাইল দেওয়া যাবে না। এমনটাই জানালেন পেরেন্টিং কনসালট্যান্ট পারমিতা মুখোপাধ্যায়। তাঁর পরামর্শ, ওই সময়টাতে শিশুকে গল্পের বই পড়তে দিন বা আপনি পড়ে শোনান। অথবা ছোটখাটো হাতের কাজ করতে পারে, গাছের পরিচর্যা করতে দিন অথবা বাড়িতে পোষ্য থাকলে তার যত্ন নিতে বলুন।

বিকেল ৫টার পরে অবশ্যই খেলাধূলা করতে হবে। সবচেয়ে ভাল হয়, বাইরে বেরিয়ে খেলতে পারলে। যদি না সম্ভব না হয়, তা হলে বাড়িতেই শরীরচর্চা করান। ওই সময়টাতে যোগাসন, স্কিপিং বা প্রাণায়াম করাতে পারেন। অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের কাছে যোগাসন শিখতে পারলে ভাল হবে। এতে শরীরচর্চা করার অভ্যাস তৈরি হবে।

স্কুলের হোমওয়ার্ক শুরুর আগে অন্তত ১০ মিনিট ধ্যান বা মেডিটেশনের অভ্যাস করাতে পারলে ভাল হয়। শিশুরা এমনিতেই চঞ্চল হয়। প্রথম প্রথম এক জায়গায় বসতে চাইবে না। কিন্তু ধীরে ধীরে অভ্যাস করালে অন্তত ১০ মিনিট শান্ত হয়ে বসা শিখে যাবে। নিয়মিত ধ্যানে মনোযোগ, একাগ্রতা বাড়বে। বুদ্ধিরও বিকাশ হবে। পড়াশোনায় মন বসবে। নিজের লক্ষ্য স্থির করতে পারবে।

সন্ধ্যায় পড়াশোনার ফাঁকে স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্সও জরুরি। ওই সময়ে খিদে পেলে ছোটরা ভাজাভুজি বা মিষ্টি জাতীয় কিছু খেতে চায়। তা না দিয়ে, বরং রোস্টেড মাখানা, ছোলা-মটরের চাট, সব্জি দিয়ে স্ন্যান্ডউইচ বা কলার স্মুদি বানিয়ে দিতে পারেন। শিশুর হাতের কাছে ড্রাই ফ্রুট্‌স রেখে দিন, এতে তার চিপস বা চানাচুর খাওয়ার ইচ্ছা চলে যাবে।