পোষ্যেরা সাধারণত শিশুদের কোনও ক্ষতি করে না। কিন্তু বাড়িতে নতুন শিশুর জন্ম হলে বা অল্প বয়সি অতিথি এলে অনেক সময়েই সারমেয়রা ধাঁধায় পড়তে পারে। শিশুর কান্না বা ছোটদের দুষ্টুমি অনেক সময়েই পোষ্যের বিরক্তির কারণ হতে পারে। তার ফলে কখনও কখনও সারমেয়দের দ্বারা ছোটদের কোনও ক্ষতিও হতে পারে।
আরও পড়ুন:
পোষ্য যদি শিশুর কোনও পদক্ষেপে বিরক্ত হয়, তা হলে সে তাকে বাধা দিতে পারে। অনেক সময়ে নখ দিয়ে শিশুকে সে আঁচড়ে দিতে পারে। দৌড়ে এসে ধাক্কা দিতে পারে। এমনকি পরিস্থিতি গুরুতর হলে শিশুকে কামড়েও দিতে পারে। তবে এই ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনার আগে পোষ্য কিছু সঙ্কেত দিয়ে থাকে। এই লক্ষণগুলি বাড়ির বড়দের জানা থাকলে সম্ভাব্য বিপদের থেকে শিশুটিকে রক্ষা করা সম্ভব।
সারমেয় কখন কামড়ায়
পোষ্য যদি হঠাৎ করে তার শরীরের পেশি শক্ত করে বা তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকায়, তা হলে বুঝতে হবে সে কামড়াতে পারে। পোষ্য যদি ঘন ঘন দীর্ঘশ্বাস ফেলে বা মুখে গম্ভীর আওয়াজ করে, তা হলেও সতর্ক হওয়া উচিত। এই শব্দের মাধ্যমে বোঝা সম্ভব যে সে কোনও কারণে বিরক্ত হয়েছে।
কী কী করণীয়
১) এ রকম পরিস্থিতিতে আগে শিশু এবং পোষ্যের মধ্যে পরিবেশ শান্ত করা প্রয়োজন। দু’জনের মধ্যে কোনও এক জনকে অন্য ঘরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত। তাদের সঙ্গে শান্ত ভাবে কথা বলার চেষ্টা করা উচিত।
২) সারমেয় কেন শিশুটির উপর বিরক্ত হয়েছে, তার জন্য কোনও পেশাদার চিকিৎসক বা পশু প্রশিক্ষকের সঙ্গে পরামর্শ করা যেতে পারে। সেই মতো পোষ্যকে পরবর্তী সময়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া যেতে পারে।
৩) পোষ্যের সঙ্গে বেশি সময় কাটালে বা তাকে যদি বোঝানো সম্ভব হয় যে শিশুটিও পরিবারের অংশ এবং তার থেকে পোষ্যের কোনও ক্ষতি হবে না, তা হলেও পরিস্থিতি বদলাতে পারে।
৪) পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পোষ্য এবং শিশুটি যাতে ভালভাবে মেলামেশা করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। দু’জনের মধ্যে খেলাধুলোর উদ্যোগ শিশুটির প্রতি পোষ্যের বিশ্বাস অটুট রাখতে সাহায্য করবে।
৫) অনেক সময়ে বাড়িতে কোনও অল্প বয়সির আগমনের আগে পোষ্যকে তার জন্য প্রস্তুত করে রাখা যেতে পারে। শিশুদের ক্রিম, তেলের গন্ধ তাকে শোঁকানো উচিত। অনেক সময়ে শিশুদের নানা ধরনের রেকর্ড করা শব্দ তাদের শোনাতে পারলেও বাড়িতে সম্ভাব্য পরিবর্তন সম্পর্কে তারা সহজেই অবগত হয়।