মানসিক উদ্বেগ ডেকে আনে ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো নানা অসুখ। ছবি: শাটারস্টক।
অফিসের কাজ থেকে বাড়ির নানা দায়িত্ব। সঙ্গে যোগ হয় নিজের এবং কাছের মানুষদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে উৎকণ্ঠা। জরুরি কাজের চাপে মাথা ও মন ক্লান্ত হয়। টেনশন বসায় থাবা। আর এর হাত ধরেই শরীরে বাসা বাঁধে ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ জাতীয় অসুখ।
অনেকে নিজেকে নানা ভাবে টেনশনমুক্ত রাখার চেষ্টা করেন। যদিও নানা ঘটনার হাত ধরে দৈনিক এই টেনশন কখনও পিছু ছাড়ে না। কিন্তু অসুখের হাত থেকে বাঁচতে গেলে টেনশন থেকে মুক্ত থাকতেই হবে।
মনোবিদদের মতে, বেশ কিছু নিয়মে টেনশন থেকে সহজেই মুক্ত থাকা যায়। কয়েকটি সহজ উপায় অবল্মবন করলেই টেনশন কাটিয়ে সুস্থ থাকতে পারবেন। জানেন সে সব কী কী?
আরও পড়ুন: অফিসে বিরক্তিকর সহকর্মী? জব্দ করুন এই সব কৌশলে
স্বাস্থ্য সম্পর্কে এ সব তথ্য জানতেন?
প্রাণায়ম: প্রতি দিন প্রাণায়মের অভ্যাস আপনাকে অনেকটাই টেনশনমুক্ত রাখার চেষ্টা করবে। শ্বাসের আদানপ্রদানকে নিয়ন্ত্রণে রেখে নানা ঘটনায় মনকে শান্ত থাকার পাঠ শেখায়।
টেনশন গ্রাস করছে দেখলে সময় বার করে একটু ঘুমিয়ে নিন।
ঘুম: অনেকেরই প্রবল টেনশনের সময় ঘুম পায়। কেউ বা দু’চোখের পাতা এক করতে পারেন না। কিন্তু যদি নিরিবিলিতে ঘুমানোর অভ্যাস রপ্ত করতে পারেন, তা হলে তার মতো ভাল উপায় আর হতেই পারে না। টেনশন গ্রাস করছে দেখলে বা অনেকটা মানসিক চাপ পড়ে গেলে সময় বার করে একটু ঘুমিয়ে নিন।
খাবার: পাতে রাখুন স্বাস্থ্যকর মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট ও পটাশিয়াম জাতীয় খাবার। অ্যাভোকাডো জাতীয় ফল রাখুন ডায়েটে। টেনশন কমিয়ে ব্লাড প্রেশারকে নিয়ন্ত্রমে রাখে তা।
সঙ্গ: খুব টেনশনের সময় এমন কোনও মানুষের সঙ্গ নিন, যিনি কাছে থাকলে অনেকটা চাপমুক্ত থাকতে পারেন কিংবা এমন কেউ যাঁকে নিজের সব সমস্যার কথা বলতে পারেন। তেমন প্রিয় কোনও মানুষের সঙ্গ অনেকটাই মনের চাপকে কমিয়ে দেয় বলে মত মনোবিদদের।
আরও পড়ুন: রেস্তরাঁয় গিয়ে স্রেফ এই খাবারগুলি এড়িয়ে চললেই ওজনও বাড়বে না, শরীরও সুস্থ থাকবে
ধ্যান বা মেডিটেশন টেনশন রুখতে সাহায্য করে।
গান: গান শুনতে ভালবাসলে দিনের মধ্যে কিছুটা সময় প্রিয় গায়ক ও তাঁর গান নিয়ে কাটান। মনের উপর চাপ পড়া রুখে দিতে পারে গান।
শখ: গল্পের বই পড়া হোক বা পছন্দের কোনও শখ, টেনশন কমাতে শরণ নিন তাদের। মনকে যত অন্য দিকে রাখবেন, ততই টেনশন কমবে। যদি পার্লারে গিয়ে সময় কাটাতে বা শপিং করতে ভালবাসেন, তা হলে তা-ই করুন। এতেও টেনশনের চাপ কমে অনেকটা।
(শুরু হয়েছে আমাদের নতুন বিভাগ 'HELLO DOCTOR'। এ বারের বিষয় ‘ব্রণর সমস্যা’। এ বিষয়ে আপনার প্রশ্ন পাঠান query@abpdigital.in এই মেল আইডি তে। উত্তর দেবেন ত্বক বিশেষজ্ঞ সঞ্জয় ঘোষ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy