জিমে গেলে নজর রাখুন খাবার পাতে। ছবি: শাটারস্টক।
মেদ কমাতে জিমে গেলেই কিন্তু দায়িত্ব শেষ হয় না। বরং জিমে যাতায়াত শুরু হলে বিশেষ নজর দিতে হয় খাবার পাতে। শ্রম বাড়ে বলে শরীরকে জোগাতে হয় বাড়তি শক্তি। নয়তো বাড়ে ক্লান্তি। লাবণ্য কমে। পেশী ঠিক ভাবে তৈরি হয় না। কাজেই ব্যায়ামের আগে–পরে সঠিক খাবার খাওয়া একান্ত জরুরি।
কী কী নিয়মে খাবেন?
ব্যায়ামের ৩০–৪৫ মিনিট আগে অল্প করে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট খান। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক থাকবে বহু ক্ষণ। ভাল করে ব্যায়াম করতে পারবেন। এর সঙ্গে পেশীর জোর বাড়াতে খান প্রোটিন। অর্থাৎ দুধের সঙ্গে ওটস/মুসেলি/ব্রাউন ব্রেড/আটার রুটি খেতে পারেন, খেতে পারেন টোস্ট–ওমলেট/ডিম সেদ্ধ/ডিমের পোচ, খিচুড়ি। চিকেন/পনির স্যান্ডউইচ, ফল ও বাদাম/দুধও চলবে। তবে পরিমাণে অল্প। বিকেলে ব্যায়াম করলে লাঞ্চের দু’–আড়াই ঘণ্টা বাদে তা করুন।
ব্যায়ামের পর প্রথমেই গ্লুকোজ, কলা বা টাটকা ফলের রস খান। এর পর ডিম বা বাটার মিল্কের সঙ্গে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট খান। দইয়ের সঙ্গে পোহা বা উপমা, দুধ দিয়ে মুসেলি বা ওটস, চিকেন স্যান্ডউইচ, এমনকি অনেক সব্জি মিশিয়ে খিচুরিও খেতে পারেন। সবচেয়ে ভাল হয় ব্যায়াম শেষ করার ৪৫–৬০ মিনিটের মধ্যে খেয়ে নিলে।
আরও পড়ুন: শীতে পার্টি-পিকনিকের জেরে বাড়ছে পেটের মেদ? এই সব উপায়ে দ্রুত কমবে ওজন
ভারী ব্যায়াম করলে জলের পরিমাণ বাড়াতে হবে। না হলে জলশূণ্যতা অনিবার্য। তার হাত ধরে বাড়বে ক্লান্তি ও আরও নানা সমস্যা। ‘আমেরিকান কলেজ অব স্পোর্টস মেডিসিন’-এর হিসাব অনুযায়ী, ব্যায়াম করার ২–৩ ঘণ্টা আগে ২–৩ কাপ জল খাওয়া উচিত। ব্যায়াম শুরু করার পর ১৫–২০ মিনিট অন্তর খেতে হয় আধ কাপ থেকে এক কাপ। ব্যায়ামের পর ২–৩ কাপ। গরমের দেশে আরও বেশি লাগতে পারে। অত হিসেব কষে জল খাওয়া সম্ভব না হলে ব্যায়াম শুরুর আগে, মাঝপথে ও শেষে এক–দেড় গ্লাস করে জল খেয়ে নিন।
আরও পড়ুন: রক্ত দেখলেই ভয়? কী করে দূর করবেন এই সমস্যা?
চাই ভিটামিন–মিনারেল
ব্যায়ামের সময় পেশী ও টিস্যুর যে ভাঙচূড় হয় তা পূরণ করতে ভিটামিন এ, সি, ই–র সঙ্গে জিঙ্ক, সেলেনিয়াম জাতীয় মিনারেলের প্রয়োজন হয়। সব সময় খাবার থেকে তা পর্যাপ্ত পাওয়া যায় না। সাপ্লিমেন্টের প্রয়োজন হতে পারে। তবে ব্যাপারটা নির্ভর করবে আপনি কী ধরনের ব্যায়াম করছেন তার উপর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy