মানসিক চাপ কমানোর কৌশল আদতে রয়েছে আপনার হাতেই । ছবি: শাটারস্টক।
অফিসের ডেডলাইন, ঠিক সময়ে প্রিমিয়াম জমা, লোনের ইএমআই, ছেলে-মেয়ের পড়াশোনা, পরিবারের নানা টুকিটাকি, সাংসারিক দায়দায়িত্ব, সঙ্গে আবার খুচখাচ অসুখ-বিসুখ। ব্যস্ত জীবনযাপনে নানা কারণে মানসিক চাপ চেপে ধরছে প্রায় সকলকেই।
মনোবিদদের মতে, গত কয়েক দশক ধরেই মানসিক চাপ মানুষের ইচ্ছাশক্তি হ্রাস করেছে। আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়িয়েছে অনেকখানি। সময়ের তুলনায় ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়া ও কোনও কোনও ক্ষেত্রে তীব্র প্রতিযোগিতার সঙ্গে নিজেকে খাপ না খাওয়াতে পারা, এ সবের জন্যই থাবা বসাচ্ছে অবসাদ।
তবে জীবনকে যদি একটু গুছিয়ে নিয়ে লক্ষ্য স্থির রাখা যায়, তা হলে মানসিক চাপকে নিয়ন্ত্রণে আনা যায় সহজেই। কী ভাবে তা সম্ভব, জানেন? ‘স্ট্রেস’ বা মানসিক চাপ কমানোর কয়েকটা সহজ কয়েকটি উপায় রইল আপনার জন্য।
আরও পড়ুন: পার্লারে আর নয়, এই উপায়ে চুলে হাইলাইট করুন বাড়িতেই
শিশু আলাদা ঘরে ঘুমোয়? কী ক্ষতি করছেন জানেন?
‘মেডিটেশন’-কে বিদ্যালয়ের কার্যাবলীর মধ্যেও ঢোকানোর পক্ষপাতী মনোবিদরা। নিজস্ব চিত্র।
রুটিনের বাইরের কিছু সৃজনশীল কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। সে ছবি আঁকা হোক বা বাগান করা। পছন্দের কোনও শখ থাকলে দিনের মধ্যে অন্তত আধ ঘণ্টা রাখুন তার জন্য। এ সব কাজে মনকে সক্রিয় রাখলে মানসিক চাপ কমে। রোজের কাজকে নতুন করে ভালবাসাও যায়। মনোবিদ দেবাঞ্জন পানের মতে, শখের কাজ করার সময় কমে যাওয়াটাও রোজের ব্যস্ততায় ডেকে আনে বিরক্তি। লক্ষ্যকে স্থির করুন। অনেকেরই স্বভাব, ‘মাল্টিটাস্কিং’ করা। ভাল কর্মী হিসাবে এক সময় এই গুণ খুব জনপ্রিয় হলেও, আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান কিন্তু উল্টো কথা বলছে। চিকিৎসকদের মতে, মাল্টিটাস্কিং কোনও কাজেই আদতে মন দিতে দেয় না। বরং অ্যাড্রিনালিন ক্ষরণ করে মানসিক চাপ বাড়ায়। তাই মাল্টিটাস্কিং ছেড়ে বরং এক একটি কাজকে ‘লক্ষ্য’ করে এগোন। এতে কমবে মানসিক চাপ। প্রতি দিন ঘুম থেকে ওঠার পর কিছুটা সময় বরাদ্দ রাখুন ব্রিদিং এক্সারসাইজ ও মেডিটেশনের জন্য। সারা দিনের কাজ, ব্যস্ততা, হুড়োহুড়িকে সামলাতে এর জুড়ি নেই। চিকিৎসকদের মতে, মেডিটেশন রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। ফলে, স্বাভাবিক ভাবেই কমে মানসিক উদ্বেগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy