মন ভাল রাখার একটাই উপায় অভিনেত্রী তব্বুর কাছে। অনলাইনে পছন্দের জিনিস কিনে ফেলা। সে জামাকাপড় হোক বা ঘর সাজানোর জিনিস। অঢেল কিনেও স্বস্তি নেই। মন খালি আনচান করে। নতুন কিছু দেখলেই অর্ডার করে ফেলেন। এতে মনে স্ফূর্তি আসে ঠিকই, কিন্তু পরে আফসোসও হয়। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তব্বু জানিয়েছেন, তাঁর ক্ষেত্রে অনলাইনে কেনাকাটা নেশার পর্যায়ে চলে গিয়েছে। নেশা কাটাতেও পারছেন না, আবার যা যা কিনেছেন এত দিন, সেগুলি এখন আর মনেও ধরছে না। খালি মনে হচ্ছে, ক্ষণিকের হঠকারিতায় এত দিন যা যা কিনেছেন কোনওটিই তাঁর মনের মতো নয়। তব্বু একা নন, অনলাইনে শপিং করার নেশায় মজেছে এখনকার প্রজন্মও। এর থেকে রেহাই পাওয়ার উপায় কি কিছু আছে?
কেনাকাটার প্রতি এই যে আসক্তি তাকে বলা হয় ‘কমপালসিভ বায়িং ডিজ়অর্ডার’। অর্থাৎ, কেনাকাটা করা আর প্রয়োজনের তাগিদে নয়, বরং নেশার মতো হয়ে গিয়েছে। চাইলেও তা থেকে বেরোনোর উপায় নেই। শুরুটা হয় প্রয়োজনের তাগিদে, ধীরে ধীরে অপ্রয়োজনের দিকেও ঝোঁকে মন। কখন যে হাত চলে যায় অনলাইন বিপণির নতুন কোনও জিনিসের দিকে, খেয়ালও থাকে না!
আরও পড়ুন:
অনলাইন শপিংয়ের নেশা কাটানোর অনেক রকম উপায়ই আছে। মনোবিদ অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়ের মতে, যে জিনিস পছন্দ হচ্ছে সেটি সঙ্গে সঙ্গে কিনে নেবেন না। বরং সেভ করে রেখে দিন। পরের দিন আবার দেখুন, সেটি আর কেনার ইচ্ছে আছে কি না। অনেক সময়ে দেখা যায়, ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে আর কেনার ইচ্ছেটা তেমন প্রবল থাকে না।
আরও পড়ুন:
আরও একটি উপায় হল, নিজের বাজেট এক বার দেখে নেওয়া। প্রতি দিনের খরচের উপর নির্ভর করে একটা বাজেট কষে নিন। মাসের শেষে সেই বাজেট পেরিয়ে যাচ্ছে কি না দেখুন। এতে বাড়তি খরচের উপর রাশ থাকবে।
নতুন কিছু কেনার আগে এক বার ভেবে নিন, সেই জিনিসটির আদৌ প্রয়োজন আছে কি না। তেমন জিনিস যদি আপনার আগেও থাকে, তা হলে সেটি না কেনাই ভাল।
ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড অথবা গুগ্ল পে ব্যবহারের বদলে ‘ক্যাশ অন ডেলিভারি’ অপশন বেছে নিন। কার্ডে কেনাকাটা করলে বা ইউপিআই-তে কিনলে হিসেব বোঝা যায় না অনেক সময়েই। নগদ টাকায় কিনলে তখন খরচের হিসেব থাকে। এতে খরচের উপর নিয়ন্ত্রণও থাকবে।
অনলাইন শপিংয়ে নিয়ন্ত্রণ রাখতে দিনভর নানা বিপণির ওয়েবসাইট ঘাঁটাঘাঁটি করা বন্ধ রাখুন। অবসরে গান শোনা, বই পড়া, লেখালিখির অভ্যাস ফিরিয়ে আনুন। তাতে লাভ হবে বেশি।