Advertisement
E-Paper

‘ভরা পেটে ফল’ খাওয়ার প্রবাদ এখন পুরনো! জেনে নিন দিনের কোন সময়ে কী খেলে ‘ফল’ মিলবে

দিনের যে কোনও সময়েই ফল খাওয়া যেতে পারে। তবে কার শরীরে ফল কেমন ভাবে প্রতিক্রিয়া করবে, সে বিষয়ে দিশা দেখাতে পারেন পুষ্টিবিদেরা।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪ ১১:৪৫

ছবি: সংগৃহীত।

‘খালি পেটে জল আর ভরা পেটে ফল’— এই বিশ্বাস নিয়ে বেঁচে আছেন বেশির ভাগ বাঙালি। কিন্তু হালের গবেষণা বলছে, মান্ধাতার আমলের এই ধারণার খোলনলচে বদলে ফেলার সময় এসেছে। অর্থাৎ, দিনের যে কোনও সময়েই ফল খাওয়া যেতে পারে। তবে কার শরীরে ফল কেমন ভাবে প্রতিক্রিয়া করবে, সে বিষয়ে দিশা দেখাতে পারেন পুষ্টিবিদেরা।

সূর্যাস্তের পর ফল না খাওয়ার বিপক্ষে পুষ্টিবিদ শিখা আগরওয়াল। তাঁর মত, “প্রচলিত এই ধারণা আসলে প্রকৃতির নিয়ম মেনে তৈরি হয়েছে। দেহঘড়ি বা শরীরের নিজস্ব ছন্দের সঙ্গে তা মিলে যায়। তবে ফলের পুষ্টিগুণ সঠিক ভাবে পেতে গেলে ফলের ধরন বুঝে ফল খাওয়ার সময় নির্বাচন করতে হবে।”

স্বাস্থ্যকর অভ্যাস ভেবে ফল খেয়ে দিন শুরু করেন অনেকে। শিখা বলেন, “খালি পেটে ফল খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা আচমকা বেড়ে যেতে পারে। বরং দিনের শুরুতে প্রোটিন এবং ফ্যাটের সমন্বয়ে তৈরি খাবার খাওয়া যেতে পারে। এর ফলে রক্তে বাড়তি শর্করা যেমন নিয়ন্ত্রণে থাকবে, তেমনই সারা দিন কাজ করার মতো এনার্জিও পাওয়া যাবে।” আবার খুব ভরা পেটে ফল খেতে নিষেধ করছেন পুষ্টিবিদ। কারণ, ফলের মধ্যে থাকা ‘ফ্রুক্টোজ়’, অর্থাৎ, বাড়তি ক্যালোরি জমতে জমতে ফ্যাটে রূপান্তরিত হয়ে যেতে পারে।

তা হলে কোন সময়ে ফল খাওয়া শরীরের জন্য ভাল?

১) সকালে ঘুম থেকে উঠে

ফল খাওয়ার আদর্শ সময় হল সকাল। কিন্তু একেবারে খালি পেটে ফল খাওয়া যাবে না। সামান্য কিছু খেয়ে তার পর ফল খাওয়া যেতে পারে। ঘুম থেকে ওঠার পর ফল খেলে তা হজম হয়ে যায় খুব তাড়াতাড়ি। ফলে থাকা গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন এবং এনজ়াইমগুলি সঠিক ভাবে কাজ করতে পারে। দিনের শুরুতে ভিটামিন সি জাতীয় ফল, যেমন কলা, আতা ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে।

২) জলখাবার এবং মধ্যাহ্নভোজের মাঝে

সকালের জলখাবার এবং মধ্যাহ্নভোজের মাঝে হালকা খিদে পায়? এই সময়েও ফল খেতে পারেন। দুপুরের খাবার সহজে হজম হয়ে যায় এই টোটকায়। হজমশক্তি জোরদার করতে ফাইবারে সমৃদ্ধ ফল, যেমন আপেল, পেয়ারা, নাশপাতি খেতে পারেন।

৩) রাতে শুতে যাওয়ার আগে

ঘুমোতে যাওয়ার আগে ফল খাওয়ার অভ্যাস কিন্তু রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে। শুধু তা-ই নয়, ফলের মধ্যে থাকা অ্যাসিডের কারণে পাকস্থলীর অস্বস্তি বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা থাকে। ফলে ঘুমের সমস্যা হয়। সে দিক থেকে রাতে ফল না খাওয়াই ভাল। একান্ত যদি ফল খেতেই হয়, তা হলে এমন ফল বেছে নিন, যেগুলিতে ‘মেলাটোনিন’-এর পরিমাণ বেশি। কারণ, এই উপাদানটি ঘুম আনতে সাহায্য করে।

Fruits Health Tips Eating habits
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy