প্রতীকী ছবি।
নিজের হৃদয় স্বচক্ষে দেখার সুযোগ কি কারও হয়? ইংল্যান্ডের বাসিন্দা ৩৮ বছর বয়সি জেনিফার সাটনকে সে দিক থেকে সৌভাগ্যবান বলা চলে। জাদুঘরে সংরক্ষিত নিজের হৃৎপিণ্ড চাক্ষুষ করার বিরল সৌভাগ্য হয়েছে তাঁর। এমন খবরে ভ্যাবাচাকা খেয়ে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। তবে এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে এক অন্য কাহিনি।১৬ বছর বয়সে জেনিফার ‘কার্ডিয়োমায়োপ্যাথি’ নামে এক বিরল রোগে আক্রান্ত হন। এই রোগে হৎপিণ্ড সারা শরীরে রক্ত চালনা করা বন্ধ করে দেয়। এই জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে জেনিফার বিভিন্ন শারীরিক এবং মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হতে থাকেন। চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন করা ছাড়া এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার আর কোনও উপায় নেই।
প্রথমে হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপনে রাজি ছিলেন না জেনিফার। তাঁর মায়েরও একই শারীরিক সমস্যা ছিল। হৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন করাতে গিয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। ফলে এই বিষয়ে আতঙ্কিত ছিলেন তিনি। কিন্তু প্রতিস্থাপন ছাড়াও আর কোনও উপায় ছিল না সুস্থ হওয়ার। বন্ধু এবং আত্মীয়স্বজনের জোরাজুরিতে প্রতিস্থাপন করাতে রাজি হন জেনিফার।সফল অস্ত্রোপচারের পর পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন জেনিফার। তাঁর আগের হৃৎপিণ্ডটি রাখা হয় হলবর্নের ‘রয়্যাল কলেজ অফ সার্জেন মিউজিয়াম’-এ। সুস্থ হয়ে ওঠার পর সে কথা জানতে পারেন জেনিফার। স্বচক্ষে নিজের হৎপিণ্ড দেখতে যান মিউজিয়ামে। জেনিফারের কথায়, ‘‘হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপনের পর আমার নিজেকে একেবারে অচেনা লাগছিল। অন্য রকম অনুভূতি হচ্ছিল। কিন্তু নিজের আগের হৎপিণ্ড দেখে বিস্মিত হয়েছি। কখনও ভাবিনি যে এমন কোনও অভিজ্ঞতা আমার হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy