শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে নজর দিন খাবার পাতে। ছবি: শাটারস্টক।
আজকের প্রজন্মের বেশির ভাগ ছেলেমেয়েই এই সবজিটি খুব একটা ভালবেসে খায় না। কেবল ছোটরাই নয়, এমনকি বয়স্করাও যে খুব পছন্দ করেন তাও নয়। কিন্তু যদি শোনেন, ডায়াবিটিস-সহ আরও বেশ কিছু রোগের যম এই করলা, তা হলে নিশ্চয়ই মন বদলাতে বাধ্য!
হ্যাঁ, ডায়াবিটিসের মোক্ষম দাওয়াই হিসেবে করলার কথায় বলছেন আধুনিক চিকিৎসকরা। কিন্তু কেন? গবেষণায় দেখা গিয়েছে, করলায় প্রধানত তিনটি উপাদান রয়েছে। যথা, পলিপেপটাই়ড পি, ভাইসিন, চ্যারনটিন। এই তিনটি উপাদান এক যোগে রোগীর রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এর মধ্যে পলিপেপটাইড পি-এর ভূমিকা অনেকটা ইনসুলিনের মতো।
কিন্তু কতটা খাব? কী ভাবেই বা খাব? জার্নাল অফ এথনোফার্মোকলজিতে একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ, চার সপ্তাহ পরীক্ষার পরে একদল চিকিৎসক জানিয়েছেন, প্রতিদিন ২ গ্রাম করে করলা ডায়েটে রাখলে টাইপ ২ ডায়াবিটিস রোগীদের রক্তে শর্করার পরিমাণ তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে নিয়ন্ত্রণে থাকবে। চিকিৎসকরা নিদান দিচ্ছেন সকালেই খালি পেটে এক কাপ করলার জুস খেয়ে নেওয়ার।
আরও পড়ুন: প্রিয় জন দূরে? লং ডিসট্যান্স সম্পর্ক টিকবে স্রেফ এ সব কৌশলে
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
ডায়াবিটিস-সহ আরও বেশ কিছু রোগের যম করলা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শুধু শর্করা নিয়ন্ত্রণই নয়, করলা আরও নানা গুণের অধিকারী। জ্বর, ঋতুকালীন যন্ত্রণা, সর্দি-কাশির সমস্যাতেও কাজ দেয় এই করলা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লুইস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দেখাচ্ছেন করলার রস ব্রেস্ট ক্যানসারের কোষকে ধ্বংস করতে সক্ষম।
এই আগুন বাজারেও করলার দাম সস্তা। স্বাদের কথা না ভেবে, শরীরের কথা ভেবে ডায়েটে করলা যোগ না করলে পস্তাতে হবে আপনাকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy