অফিসের বদলে বাড়িতে বসে অনেকেরই বাড়ছে কাজের গতি
দাগ ভালও হয়! ঠিক যেমন এই বিজ্ঞাপনে মুগ্ধ হয়েছে গোটা দেশ, ব্যাপারটা তেমনই। কারও কারও জীবনে বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশ এসেছে আশীর্বাদের মতো হয়ে। বাইরে গিয়ে সকলের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করার জন্য যাঁরা হাঁপিয়ে উঠেছেন, তাঁরা অবাক হচ্ছেন তো? কিন্তু এমন অনেক মানুষ আছেন, যাঁদের কাজের গতি বেড়ে গিয়েছে করোনা কালে। শুধু ওই বাড়ি বসে কাজের সুবাদে!
এমন বহু মানুষ আছেন, যাঁরা নিজের মতো করে কাজ করেই উঠতে পারেন না বেশি জমজমাট জায়গায়। তিনি কম কাজের বলে নয়। কিন্তু হয়তো স্বস্তি হয় বেশি লোকের মাঝে কথা বলতে। অনেক বেশি সচেতন হয়ে পড়েন, কে কী ভাবছেন তা নিয়ে। যার জের কাজের উপরেও গিয়ে পড়ে। মনোবিদদের ভাষায়, এই প্রবণতাকে ‘সোশ্যাল অ্যাংজাইটি’ বলে। সামাজিকতা ঘিরে অস্বস্তি। যাঁদের মধ্যে এই প্রবণতা থাকে, তাঁদের সব সময়েই বেশি লোকের মাঝে কথা বলতে, কাজ করতে সমস্যা হয়। সম্প্রতি তেমনই অনেক মানুষকে দেখা গিয়েছে নেটমাধ্যমে এ বিষয়ে নিজেদের বক্তব্য প্রকাশ করতে। দেশ-বিদেশের বেশ কিছু নেটাগরিক জানিয়েছেন, অফিস যাওয়ার বদলে বাড়ি বসে কাজ করতে অনেক স্বচ্ছন্দ বোধ করছেন তাঁরা। কারণ, প্রয়োজন-অপ্রয়োজনে কারও সামনে গিয়ে কথা বলতে হচ্ছে না। বরং নেটমাধ্যমে লিখে-লিখে কাজের কথা বলে নিলেই চলে। ফলে মত আদানপ্রদান করা আগের তুলনায় সহজ মনে হচ্ছে তাঁদের।
অর্থাৎ, বাড়ি থেকে কাজ করে যদি স্বস্তি পাওয়া যায়, এতে লজ্জার কিছুই নেই। বরং জেনে রাখা ভাল, সঙ্গে আরও অনেকে আছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy